ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) : সদ্য সমাপ্ত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে আওয়ামীলীগ মনোনীত বিজিত প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।এসময় তারা নৌকাকে পরাজিত করতে জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও সাবেক এমপি এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ, উপজেলা আ’লীগ ও আওয়ামীলীগ নেতারা একাট্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন।
রবিবার (১৬জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পরাজিত প্রার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী।
অসুস্থতার কারণে দুই বিজিত প্রার্থী উপস্থিত না থাকলেও বাকী ৮জন প্রার্থী উপস্থিত হয়ে নিজেদের হারের কারণ ব্যাখা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ফরিদগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৩জন প্রার্থী নৌকার মনোনয়ন লাভ করি। দলীয় প্রতীক পাওয়ার পর থেকে ব্যক্তিস্বার্থে নৌকা প্রতীককে পরাজিত করতে সাবেক এমপি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। নির্বাচনে তাদের অনুসারীরা প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি এবং তাদের অনুসারীদেরকে নৌকার বিপক্ষে মাঠে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসন নিরপেক্ষতার আড়ালে নৌকাকে হারানোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। নির্বাচনের পুর্বদিন এবং নির্বাচনের দিন তাদের আচরণে তা ষ্পষ্ট হয়েছে।
নৌকা প্রতীককে পরাজিত করার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক শীর্ষ নেতা ও সাবেক এমপি প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাঁড় করিয়ে রাখেন। একই সাখে স্বতন্ত্র নামে বিএনপির জামাতের প্রার্থীদের অবৈধ লক্ষ লক্ষ টাকা ডোনেশন দিয়েছেন। ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীতের প্রার্ধী বলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান প্রকাশ্য সমাবেশে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে হুমকি দিয়েছেন নৌকাকে বিজয়ী হতে দিবেন না বলে। তার অনুসারীরা এলাকায় গিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন ও আওয়ামীলগের ভোটারদের না আসার জন্য অপচেষ্টা করেন। প্রশাসনের মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়িয়ে দলীয় কর্মীদের এলাকাছাড়া করেছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র তেকে নৌকার এজেন্টদের প্রশাসনের মাধ্যমে বের করে দিয়েছে।
বিশেষ করে নির্বাচনের দিন একটি বিশেষ মন্ত্রনালয়ের অধিনে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারদের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করেছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে। নির্বাচনের দিন নৌকার কর্মীদের গুলি রাবার বুলেট মেরে কেন্দ্র হতে তাড়িয়ে দেয়া হয়, অনেকেই এখনও বিখিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলার ঘটনা ছিল নিয়মিত।
মোট কথা সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানকে অপমানিত করতে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে ফরিদগঞ্জে আওয়ামীলীগের অবস্থান দুর্বল করতে তাদের এই হীন প্রচেষ্টা। প্রেসক্লাব সভাপতি মো: কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বিজিত প্রার্থীদের মধ্যে বালিথুবা পশ্চিম ইউপির বাহা উদ্দিন, বালিথুবা পুর্ব ইউপির জি এম হাসান তাবাচ্চুম, সুবিদপুর পশ্চিম ইউপির পারভেজ হোসাইন, গুপ্টি পুর্ব ইউপির আব্দুল গনি বাবুল পাটওয়ারী, গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, পাইকপাড়া উত্তর ইউপির আলা উদ্দিন, গোবিন্দপুর উত্তর ইউপির সোহেল চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান শাহীন, সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, পৌরসভার এমপি প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর পলোয়ার, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের এমপি প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম সুমন, গোবিন্দপুর উত্তরের এমপি প্রতিনিধি পুতুল সরকার উপস্থিত ছিলেন।
ফম/এমএমএ/