
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আকরাম হোসেনসহ ৭ ব্যক্তির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ভুক্তভোগী ওই এলাকায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। সাব্বির নামের এক কিশোর তাকে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। এসব কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করত সাব্বিরের সহযোগী কয়েক কিশোর। প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় সাব্বির ভুক্তভোগীকে অপহরণের হুমকি দেয়। হুমকির পর থেকে ভুক্তভোগী তার মামার বাড়ি কাঁশারা গ্রামে আশ্রয় নেয়।
ঘটনার রাতে সবাই যখন মসজিদে নামাজ পড়তে যায়, ওই সুযোগে সাব্বিরসহ কয়েক কিশোর অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর মামার বাড়িতে হামলা করে। পরে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় অপহরণকারীরা টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগীর নানা সহিদ উল্যাহ বলেন, বিশাল বিশাল রামদা, ছুরিসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাব্বির ও তার সহযোগী ১৫ থেকে ২০ জন এসে আমাদের সবাইকে অস্ত্র ধরে আমার নাতনিকে তুলে নিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত স্থানীয় ইউপি সদস্য আকরাম হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম এই বিষয়ে বলেন, কিশোরীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।