চাঁদপুর: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুকুরে বিষ প্রয়োগে হাসের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোজাদার প্রবাসী মোক্তার আহাম্মদের স্ত্রী খাদিজাকে (৩৭) বেধড়ক প্রহার করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি ইউসুফ বেপারী (৫৫) নামে ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। একই সাথে ওই নারীকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।
গত ১৬ মার্চ আনুমানিক বেলা ২ টার দিকে উপজেলার চরদুখিয়া ইউনিয়নের লড়াইরচর বেপারী (মাঝি বাড়ি) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ব্যাক্তির মারধরে প্রবাসীর স্ত্রীর হাতে মারাত্মক জখম হলে দুটি সেলাই দিতে হয়। এছাড়া লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ঘটনার পর খাদিজা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
প্রবাসীর স্ত্রী এ প্রতিবেধককে জানান, ঘটনার দিন জোহর নামাজ আদায় করে নিজ বাড়ির আঙিনার সামনে কাজ করতে ছিলেন। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ইউসুফ বেপারী নামের ব্যক্তি তার ওপর অতর্কিত হামলা এবং বেধড়ক প্রহার করে। এসময় ওই নারীর হাতের আঙ্গুল ফেটে রক্ত বের হয়। ওই সময় তিনি প্রবাসীর স্ত্রী টেনেহেঁচরে শ্রীলতাহানির চেষ্টা করে। কোন রকমে দৌঁড়ে গিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে নিজের সম্মান রক্ষা করেন।
তিনি আরো জানান প্রতিপক্ষ হাঁস মারার যে অভিযোগ দিয়েছেন তা সঠিক নয়। পুকুরে বিষ দেয়া হয়নি। বাড়িতে আরো ৩জন হাঁস পালন করেন। যদি বিষ প্রয়োগ করা হতো, তাহলে সবার হাঁসই মারা যেত।
হামলার শিকার খাদিজা বলেন, আমার স্বামী প্রবাসে। আমি একজন অসহায়। প্রশাসনের কাছে এর যথাযথ বিচার দাবী করছি।
এ ব্যাপারে খাদিজা বেগম ইউসুফ বেপারীকে বিবাদী করে চাঁদপুর পুলিশ সুপার ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছে বলে জানা যায়। অভিযোগে নির্যাতনকারী মোঃ ইউসুফকে আসামী করা হয়।
অভিযুক্ত ইউসুফ বেপারী মুঠো ফোনে বলেন, ওই নারী তাদের নিজস্ব পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছেন। যে কারণে আমার দুটি হাঁস মারা যায়। একই সাথে তিনি ওই নারীকে মারধর করার কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিটন জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
ফম/এমএমএ/