ফরিদগঞ্জের প্রতারক জাহাঙ্গীর আলমের সন্ধান চায় ভুক্তভোগীরা

মো. জাহাঙ্গীর আলম। সংরক্ষিত ছবি।

চাঁদপুর: ‘আইটি ফার্মারস্ ট্রেনিং এন্ড মার্কেটিং সিস্টেম লিমিটেড’ নামীয় কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরিদগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর আলম ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও। গত ১০ বছরেও তার খোঁজ পায়নি ভুক্তভোগীরা। প্রতারণার শিকার অনেকে মামলা করেও তার কোন হদিস পায়নি। ভুক্তভোগীরা তার সন্ধান চায়।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, অভিযুক্ত মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড রুদ্রগাঁও গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে। ২০১২ সালে তার চাঁদপুর অফিস ছিল শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এবং ঢাকা প্রধান অফিসের ঠিকানা ছিলো-শতাব্দী সেন্টার, ১৬ ফ্লোর (১৬এ-২/৩), ২৯২ ইনার সার্কুলার রোড, ফকিরাপুল, ঢাকা-১০০০।

খোঁজ নিয়ে ও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, জাহাঙ্গীর আলম এখন তার প্রতারণার পদ্ধতি পরিবর্তন করেছেন। সে এখন নোয়াখালী অঞ্চলে চক্ষুশিবির করেন। এই ধরণের কাজের সাথে সে জড়িত। তবে তার সঠিক ঠিকানা কেউ বলতে পারেনি। চাঁদপুরে থাকাকালীন সময়ে তার মুখে দাড়ি ছিল না। এখন দাড়ি রেখেছেন।

ভুক্তভোগী শহরের নিউ টাকরোডের মো. মফিজুল ইসলাম জানান, তার কাছ থেকে জাহাঙ্গীর আলম ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর দুই লাখ টাকা নিয়েছেন। ২০১৪ সালে ডিসেম্বর মাসে সেই টাকা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু টাকা নিয়ে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে জানতে পারেন এই রকম অনেকের কাছ থেকে কোম্পনীর নাম করে এবং মানুষজনকে হাঁস মুরগীর ফার্ম ও গাড়ী ক্রয় করে দিয়ে স্বাবলম্বী করবেন বলে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, তার আপন ভাই জাহাঙ্গীর বেপারীর কাছ থেকেও নিয়েছে ৫ লাখ টাকা। জাহাঙ্গীর আলম উধাও হয়ে যাওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। কিন্তু তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলোতে (০১৮২০৫১৬৩৯৫, ০১৯২০৯৯৩১৮২) ফোন দিলে রিং হয় রিসিভ করেন না। আবার অনেক সময় অন্য মানুষ দিয়ে রিসিভ করে এলোমেলো কথা বলে।

মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা জাহাঙ্গীর আলমের সন্ধান চাই। ফরিদগঞ্জ তার নিজ এলাকার কোন ব্যাক্তি তার সন্ধান পেলে যদি আমাদেরকে জানান, তাহলে কৃতার্থ হব। কারণ জাহাঙ্গীর আলমের প্রতারণার শিকার অন্য ব্যাক্তিরা তাকে খুঁজছে।

ভুক্তভোগী মফিজুল ইসলামের বর্তমান ঠিকানা: ইব্রাহীম মঞ্জিল, নিউ ট্রাক রোড, চাঁদপুর।

জাহাঙ্গীর আলমের তৎকালীন ভিজিটিং কার্ড। সংরক্ষিত ছবি।

ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম