প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ফোকাস মোহনা.কম’ এ “ভুয়া দলিল করে সম্পত্তি দখলের অভিযোগে ৬ জনকে আসামী করে মামলা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দ্যেশ প্রনোধিত। আমরা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অভিযোগে বলা হয়েছে ৩০ বছর আগে আবদুল মতিন বেপারি ও তার ছেলে জহিরুল ইসলাম বেপারি হবিয়া খাতুনের ৮২ শতাংশ জমি জাল দলিল করে নিয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো, আবদুল মতিন বেপারির মা হলেন হবিয়া খাতুন। তিনি তার ছোট ছেলে আবদুল মতিন বেপারিকে উক্ত জমি রেজিস্ট্রি মূলে দান করেছেন। উক্ত জমি খায়ের গং এখনও জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। মা তার ছেলেকে জমি দিয়েছেন সেটা কিভাবে জাল দলিলের মাধ্যমে করা হলো তা বোধগ্যম নয়। আর ৩০ বছর পর কেন জনৈক আবুল খায়েরের কাছে এটা জাল দলিলের মাধ্যমে করা হয়েছে মনে হলো। সংবাদে জহিরুল ইসলামকে জড়নো হয়েছে। ৩০ বছর আগে জহিরুল ইসলাম শিশু ছিল। একজন শিশু কিভাবে জাল দলিল সম্পাদন করতে পারে!

প্রকৃত ঘটনা হলো, অভিযোগকারী খায়ের নিজেই এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। তার এসব অপকর্মের কারণে চাঁদপুরের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকাতেই ভুক্তভোগীদের বরাতে গত ২৮ মার্চ “মামলাবাজ আবুল খায়েরের খুটির জোর কোথায়, রান্নাঘর করতে হলেও তাকে চাঁদা দিতে হয়” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। তার অপকর্মের প্রমাণ স্বরূপ ফরিদগঞ্জ থানায় একাধিক ভুক্তভোগীর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা আছে। আদালতেও অনেক ভিকটিম মামলা করেছেন।

আমাদের পরিবারের জায়গা-সম্পত্তি দখল করার জন্য জনৈক আবুল খায়ের গং এসব অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে। তাকে মারধর করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ ভুয়া, ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট। জহিরুল ইসলামের নামে খায়ের যেসব অভিযোগ করেছে এসবের কোনও ভিত্তি নেই। অধিকন্তু জহিরুল ইসলাম তাদের হুমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় আছে। বিষয়টি ফরিদগঞ্জ থানা, এলজিইডির প্রকৌশলী ও ইউএনও মহোদয় অবগত আছেন। এ কারণে ইতোমধ্যে জহিরের নিরাপত্তা চেয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে । চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে তাও মিথ্যা। এসব বিষয়ে আমাদের আইনজীবী সহসায় আদালতে যাবেন। প্রমাণ ছাড়া এসব উদ্ভট কথা সম্মানহানির নামান্তর।

উল্লেখ্য, আমাদের পরিবারের জহিরুল ইসলাম ছাড়া বাকি ৭ ভাইবোন ঢাকায় থাকে এবং ৪ ভাই চাকুরী করেন দুই ভাই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। গ্রামের বাড়ির বিষয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তাতে আমাদের বক্তব্য নেওয়া প্রয়োজন ছিল। এই বাড়ি কারও একার নয়। ৬ ভাই যৌথভাবে একতলা এই বাড়িটি করেছে। বাড়ির জায়গাও ৬ ভাইয়ের নামে নামজারি করা। বাড়িসহ জহিরুল ইসলামের ছবি প্রকাশ করায় আমাদের পরিবারের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে।

এলাকাবাসীর বরাতে যে কথা বলা হয়েছে তা মিথ্যার বেসাতি ছাড়া কিছু না। এলাকাবাসী কারও নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। এতে বোঝা যায় এই রিপোর্ট উদ্দেশ্য প্রনোধিত, মিথ্যা ও মনগড়া। তাই আমরা এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নিবেদক
জহিরুল ইসলাম ও তার পরিবার।
৯ এপ্রিল, ২০২২খ্রি.

বিজ্ঞপ্তি | ফোকাস মোহনা.কম