পৌরসভার কর্মচারীদের বিক্ষোভ : অবরুদ্ধ হিসাব রক্ষকের স্বেচ্ছায় বদলির আবেদন

চাঁদপুর: বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে চাঁদপুর পৌরসভার বিভিন্ন শাখার ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকালে পৌরসভার সকল বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে আগত সেবা গ্রহীতারা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত পৌরসভার কর্মচারীরা পৌর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা পূর্বের বকেয়া বেতন না পাওয়া পর্যন্ত পৌরসভার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন। পরে চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো.গোলাম জাকারিয়া দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এদিকে, দুপুর দুইটার দিকে পৌর কর্মচারী রিয়াজকে মতলব উত্তর নারায়নপুর পৌরসভায় বদলি করণের একটি মেইল আসে। এ ঘটনায় জড়িত থাকা ও ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে ক্ষুব্ধ পৌর কর্মচারীগণ হিসাব রক্ষক সৈয়দ মোঃ মুশিউর রহমানকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে দাবি করেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিয়াজের বদলি আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তাদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে ঘন্টা না পেরোতেই রিয়াজের বদলি আদেশ প্রত্যাহার করে নেন পৌর প্রশাসক।

এ সময় হিসাব রক্ষক সৈয়দ মোঃ মুশিউর রহমানকে স্বেচ্ছায় বদলি আবেদন করার জন্য দাবি তুলেন বিক্ষুব্ধ পৌর কর্মচারীরা। অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে তিনি স্বেচ্ছায় বদলির জন্য পৌর প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করেন।

চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই মিজান সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং তাকে নিরাপদে পৌরসভা থেকে তার বাসায় পৌঁছে দেন।

চাঁদপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, পৌরসভার অন্য খাত থেকে কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে। এর আগে ঈদ বোনাসও দেয়া হয়ে গেছে।

এখন আর বেতন বকেয়া এবং বোনাসেরও সমস্যা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা যায়, পৌরসভার নিজস্ব আয় দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফান্ডের অভাবে বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ থমকে আছে। জুলাই-আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চরম অর্থ সংকটে ভুগছে চাঁদপুর পৌরসভা।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো.গোলাম জাকারিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, আগে থেকেই সবসময় বেতন বকেয়া ছিল, কোন মাসেই রার্নিং মাসের বেতন পরিশোধ হতো না। তবে আমরা আমাদের ফান্ড অনুযায়ী সাধ্য মতন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের এক মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছি। শীঘ্রই সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে। তবে ফান্ড না থাকায় আমরা মার্চ মাসের বেতন হয়তো দেয়া সম্ভব হবে না।

ফম/এমএমএ/

মুসাদ্দক আল আকিব | ফোকাস মোহনা.কম