চাঁদপুর : চাঁদপুরে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানিকৃত পশুর চামড়া সার্বিকভাবে সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজতকরণ ও লবন সরবরাহ নিশ্চিত করা সংক্রান্ত আলোচনা সভা রোববার (৯ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নিজের বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শহরের পালবাজারের প্রবীণ চামড়ার ব্যাপারী বাচ্চু সরদার।
তিনি সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আমি পালবাজারের ব্যবাসয়ী হলেও আমার পাশবর্তী ব্যবসায়ীদের কারণে কোরবানির চামড়া ক্রয় করতে পারি না। পাশের ব্যাপারীরা আমাকে মারধর করে এবং চামড়া ক্রয় করতে দেয় না। ওই সময় তিনি কান্নায় ভেঙেন পড়েন।
বাচ্চু সরদারের সাথে আলাপ করে জানাগেছে তাকে মারধরকারী চামড়ার ব্যাপারীরা হলেন-আকবর গাজী, মোস্তফা গাজী ও আলমগীর গাজী।
এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন বলে জানান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত।
এদিকে সভায় হাজীগঞ্জ উপজেলার চামড়া ব্যাপারী প্রদীপ দাস বলেন, তার পিতাও চামড়ার ব্যাপারী ছিলেন। তাদের প্রতিষ্ঠান ঢাকায় চামড়ার ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা পাওনা আছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং তার সাজাও হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আটক হননি। এই বিষয়ে তিনি প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন।
অপরিদকে মহামায়া মাদ্রাসার শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহ বলেন, এক সময় তারা কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ করতেন। কিন্তু এখন চামড়ার দাম কমে যাওয়ার কারণে তা আর করতে পারেন না। আবার কেউ কেউ চামড়ার দাম বাড়ানোর জন্য চামড়া দিতে বিলম্ব করেন। যে কারণে চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করতে সমস্যা হয়। তিনি চামড়ার সঠিকমূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
ফম/এমএমএ/