পানির অভাবে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পে ৪০ একর জমি অনাবাদি

চাঁদপুর : চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মন সাখুয়া গ্রামে পানির অভাবে ‘চাঁদপুর সেচ প্রকল্প’ এর অভ্যন্তরে ৪০ একর জমিতে বোরো আবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। যার ফলে জমিগুলো এখন অনবাদি পড়ে আছে।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে বিশাল মাঠ অনাবাদি পড়ে আছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করার দাবী জানিয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে জমিগুলোতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান কৃষক পরিবারের সদস্যরা।

প্রতিবাদে অংশ নেন স্থানীয় কৃষক শহিদ রাজ, বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারী, মাসুদ গাজী, আলমগীর গাজী, সেলিম গাজী, তাফু পাটওয়ারী, মোশাররফ পাটওয়ারী, রাজিব তপদার, হাসমত খন্দকার, হারুন খন্দকার, সবুজ রাজ, বিল্লাল, মান্নান তালুকদার, হান্নান শেখ, কাদির গাজীসহ অনেক কৃষক।

তারা বলেন, পানি সেচের স্কিম ম্যানেজার মো. ফজলুর রহমান এর গাফিলতিতে আজ কৃষকরা জমিতে পানি পাচ্ছেন না। ধানের চারা এবং জমির ইজারা বাবদ তাদের অনেক টাকা ক্ষতি হবে।

অভিযোগের বিষয়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণ সাখুয়া মাঠের স্কিম ম্যানেজার ফজলুর রহমান খান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডি রাস্তা নির্মাণের কারণে কয়েকশ গজ ড্রেন মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলেছে। ড্রেনটি খনন করতে গেলে ঠিকাদার আমাকে বাঁধা দেয়। তারা বলে কাজ চলমান অবস্থায় তাদের রাস্তা কাটা যাবেনা। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডি অফিসে জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি। ইতোমধ্যে আমি পানির টাকা জমা দিয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে বকেয়া বিল পরিশোধ করেছি।

ঠিকাদার রুবেল হোসেন জানান, আমি স্কিম ম্যানেজারকে পাইপ দিয়ে পানি নিতে সহযোগিতার প্রস্তাব করলে তিনি রাজি হননি। তিনি চান রাস্তার ভিতর দিয়ে ঢালাওভাবে পানি নিতে। এতেকরে রাস্তার কাজের ক্ষতি হবে তাই আমি তাকে নিষেধ করি।

ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি এবং কৃষকদেরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত আবেদনের পরামর্শ দিয়েছি।

বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন বিল্লাল জানান, ঠিকাদার ও ইউপি সদস্যকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে কোন ভাবে পানির ড্রেন সচল করা যায় সে ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।

ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম