পাঁচ জনকে পিষে মারা রেজিস্ট্রেশনহীন ট্রাক চালকের নেই লাইসেন্স ! র‌্যাবের হাতে আটক 

কুমিল্লা  : কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে ৫জনকে পিষে মারা ট্রাক চালকের লাইসেন্স ও প্রতিষ্ঠানিক ট্রেনিং ছিলো না! গাড়িটির ছিলো না রুটপার্মিট এবং রেজিষ্ট্রেশন! তবুও চলছিলো মহাসড়কে!
কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার ময়নামতিতে শুক্রবার ভোর রাতে মাটিবাহী ড্রামট্রাকের চাপায়  সিএনজি চালক সহ ও যাত্রী সহ ৫জন নিহত ও ১জন লাইফ সাপোর্টে থাকা দুর্ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালক রবিনকে আটক করেছে র‌্যাব।
১৮ ফেব্রুয়াwi  রাতে জেলার সদর দক্ষিণ থানার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের মুরাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করে ‌র‌্যাব ।
আটক রাকিবুল হাসান রবিন (১৯) পঞ্চম শ্রেনী পাশ। এবং তার বাড়ি বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে। পেশায় সিএনজি চালক বাবার নাম খোরশেদ আলম। রোববার সকালে র‌্যাব ১১ সিপিসি ২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর রবিন ঘটনাস্থলের পাশে অপর একটি ড্রামট্রাকে করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরে  মালিককে ফোন করে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানায়। ট্রাকের মালিক মো. আলেক (৫৫) তাকে ন্যূনতম ১ বছর আত্মগোপনে থাকার পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে সে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গোপনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। চিকিৎসা শেষে মামার বাড়ি জেলার সদর দক্ষিণ থানার কনেশতলা গ্রামে আত্মগাপেনে চলে যায়। রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আচ করতে পেরে ভয়ে অন্যত্র আত্মগোপনের জন্য সিএনজি যোগে পালানোর সময় র‌্যাব তাকে আটক করে। প্রাতিষ্ঠানিক কোন প্রকার ট্রেনিং ও লাইসেন্স ছাড়াই ট্রাকটি চালাচ্ছিলো সে।
এদিকে শুক্রবার রাতে নিহত অটোরিকশা চালক জুলহাস মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আটক ড্রামট্রাক চালক রবিন কে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানায় র‌্যাব। ঘটনার পর থেকেই গাড়ির মালিক পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার সকালে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সিন্ধুরিয়াপাড়া কাটাজাঙ্গাল তুতবাগান এলাকায় মাটিবাহী ড্রামট্রাক চাপায় অটোরিকশার চালক-যাত্রীসহ ৫জন নিহত হয়। নিহতরা হলো সিএনজি অটোরিকশার চালক বুড়িচংয়ের পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামের মৃত ছাফর আলীর ছেলে  জুলহাস মিয়া(৬০) এবং একই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে সিএনজির যাত্রী জহিরুল ইসলাম(৩৫), কংশনগর বাজারের ফল ব্যবসায়ী কংশনগর পূর্বপাড়ার দৌলত খাঁনের ছেলে মো. জালাল (৩৭) একই বাড়ির জালালের চাচাত ভাই আব্দুল মতিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৭) ও দেবিদ্বারের জাফরগঞ্জ এলাকার ছগুরা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৩)। এছাড়াও বুড়িচংয়ের রামপুর এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম (৬৫) কে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়া হয়েছে। তিনি লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার শ্যালক মনির হোসেন।  r
ফম/এমএমএ/

তাপস চন্দ্র সরকার | ফোকাস মোহনা.কম