পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের জাল কেটে বের হতে হবে: দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরাজিত শক্তি বাংলাদেশকে পেছনে টেনে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্রের জাল পাতছে। আমাদের প্রতিনিয়ত এসব জাল কেটে বের হতে হবে। সরকার সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।

রবিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্রের উৎপাটনই শোকাবহ আগস্টের অঙ্গীকার’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. দীপু মনি বলেন, পরাজিত শক্তির বড় একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়। এ কারণে বর্তমানে ষড়যন্ত্রের আন্তর্জাতিক জাল পাতা হচ্ছে। আমাদের প্রতিনিয়ত এসব জাল কেটে বের হতে হবে। সাইবার জগতে বড় যুদ্ধ হচ্ছে, আমাদের সকলকে এ যুদ্ধের জবাব দিতে হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করে না। বরং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের ভোট ও ভাতের সংগ্রামে কাজ করে যাচ্ছে এ সরকার।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশকে স্বাধীন করেই যাননি, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের যা যা প্রয়োজন তা তিনি সাড়ে তিন বছরের মধ্যে করে গেছেন। আমরা এখন যে বিষয়েই ভালো একটি উদ্যোগ নিতে যাই, দেখি বঙ্গবন্ধু এটির সূচনা করে গেছেন। এটি বিস্ময়কর একটি বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে তার কন্যা শেখ হাসিনাও ভোট ও ভাতের অধিকার দিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছেন। ষড়যন্ত্র সেদিনও ছিল, আজও আছে। পিলখানার ঘটনায় আমরা দেখেছি কীভাবে সেনাবাহিনীকে সরকারের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে এসে এসব ষড়যন্ত্রকারীকে রুখে দিতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমাদের গোয়েবলসীয় কায়দায় সঠিক ইতিহাস থেকে দূরে রাখা হয়েছে৷ আমরা সঠিক ইতিহাস জানতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মার্কিন সমাজ্রবাদের কুনজরে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু আপস করেননি বিধায় মার্কিনীরা খাদ্য সহয়তা দেয়নি। আর এজন্যই তখন দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো। সে দুর্ভিক্ষ প্রাকৃতিক নয়, বরং মানবসৃষ্ট ছিল।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা দেখেছি সাধারণত ক্ষমতা কেড়ে নিতেই অভ্যুত্থান হয়। তবে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কেবল ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার জন্য করা হয়নি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে পূর্ব পাকিস্তান করা হল। গোলাম আজমরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আবারো দুই পাকিস্তানকে এক করার মতো ঘৃণ্য অপচেষ্টা করেছিলেন। ১৫ আগস্ট ছিল সকল পরাজিত শক্তির সম্মিলিত আক্রমণ। তাদের সকল ষড়যন্ত্র আমাদের ন্যসাৎ করে দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

ফম/এমএমএ/

নিউজ ডেস্ক | ফোকাস মোহনা.কম