
চাঁদপুর: চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনে আমরা সরকারের নির্দেশনা পালন করব। আপনারা দলীয় কিংবা স্বতন্ত্র যে ব্যানারে নির্বাচন করুন না কেন, ভোটারদের কাছে যেতে হবে। ভোটের বিষয়ে আমাদের কোন ব্যাক্তির জন্য সহযোগিতা থাকবে না। মানুষ যাকে ভোট দিবে সেই জিতবে। পুলিশ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কচুয়া, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলায় ২৮ ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীগণের সাথে আচরণবিধি ও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন কোন প্রার্থী বহিরাগত লোকজন আনবেন না। যদি কেউ প্রচারণা ও ভোটের কাজে বহিরাগত লোক আনেন, তাহলে যারা এসেছে তাদের শাস্তি হবে এবং যিনি তাদেরকে এনেছেন তারও শাস্তি হবে। যারা বহিরাগত লোক আনবে, তার নাম ও তাদেরকে ভিডিও এবং নাম তালিকা করে আমাদেরকে পাঠাবেন। আমরা ব্যবস্থা নিব। নির্বাচনের দিন টেবিল নিয়ে নির্দিষ্ট দূরুত্বের বাহিরে গিয়ে বসবেন। কোন এজেন্ট মোবাইলসহ নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রবেশ করবে না। যদি পাওয়া যায়, তাহলে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হবে। যারা এজেন্ট নিয়োগ করবেন, তারা আগ থেকেই বলে রাখবেন সে যেন মোবাইল নিয়ে প্রবেশ না করে। আর যখন ভোট গননা হবে তখন একজনের একাধিক এজেন্ট থাকলেও একজন থাকবে, বাকীরা বের হয়ে আসবে।
এসপি বলেন, এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আপনার প্রতিবেশী। নির্বাচনের পরেও আমরা সব ধরণের প্রার্থী একই এলাকায় বসবাস করব। তাই এসব বিষয় নিয়ে কোন ধরণের বিরোধ তৈরী করা ঠিক হবে না। কেউ যদি কোন ধরণের হুমকি দেয় কিংবা জামেলা তৈরী করে এসব বিষয়গুলো সরাসরি পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে না। আপনারা এই ধরনের কিছু হলে লিখিত আকারে সরাসরি রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করবেন। তিনি আমাদেরকে তদন্ত করার জন্য দিলে, আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলি হরির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ।
ফম/এমএমএ/