ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি জননেতা শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন ৫ অগাস্টের পর দেশ গঠনের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা থাকলে তা কাজে লাগাতে পারে।যারা দেশের কল্যাণ চায় তারা এই মুহূর্তে ক্ষমতার কথা চিন্তা না করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের একটি স্থায়ী রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে পারেন।
৫ আগস্টের পূর্বে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছিলাম, আমরা ভেবেছিলাম ঠিক একই ভাবে ওই ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তিগুলো পুনরায় রাষ্ট্র মেরামতে সহযোগিতা করবে । দুর্নীতি দুঃশাসন মুক্ত রাষ্ট্র কাঠামো তৈরিতে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসবে কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ পরিতাপের বিষয় একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতার নেশায় মত্ত হয়ে তারা দলীয় কোন্দল থেকে শুরু করে চাঁদাবাজী সন্ত্রাসী দখলদারি মামলা বাণিজ্যসহ সকল অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে, এবং দেশকে আবার অশান্ত করে তুলছে।
এটা কখনো আমরা আশা করিনি আমরা মনে করেছিলাম রাজনৈতিক দলগুলো ৫ আগস্ট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে সুষ্ঠু ধারার একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাংলাদেশ তৈরি হবে। বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষ তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন যে কারণে ছাত্র-জনতা রক্ত দিল এত বড় একটি অভ্যুত্থান তৈরি হলো সেই কারণগুলি আবারো আমাদেরকে গ্রাস করে ফেলেছে, তাহলে কি কারণে অভ্যুত্থান হলো! সাধারণ মানুষের মাঝে দুঃখ ক্ষোভ আমরা অনুভব করছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সদর উপজেলা ২নং আশিকাটি ইউনিয়ন শাখা কর্তৃক আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার মূল শ্লোগান ছিল সাম্য,মানবিক মর্যাদা,সামাজিক ন্যায়বিচার ১৯৭১ সালের পর ৭২ এর সংবিধানে এই মৌলিক স্লোগান বাদ পরল কি কারণে? এই স্লোগান বাদ দিয়ে সেখানে স্থাপন করা হলো জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, গণতন্ত্রবাদ, সমাজতন্ত্রবাদ অথচ এ দেশের মানুষের আবেগ অনুভূতি বোধ ও বিশ্বাসের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। ধর্মনিরপেক্ষবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ জন্য রক্ত দেয়নি যুদ্ধ করে নি অস্ত্র হাতে নেয়নি। বরং মানুষ ঈমান ও ইসলাম নিয়ে প্রত্যেক ধর্মের স্বাধীনতার এবং স্বতন্ত্রবোধ নিয়ে স্বাধীনভাবে জান মাল ইজ্জত নিয়ে বসবাস করতে পারবে একটি সুন্দর সাম্যের সমাজ কায়েম হবে মানুষ তার সুবিচার পাবে একজন মানুষ তার মানবিক মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারবে এ উদ্দেশ্যেই তারা জীবন দিয়েছিল রক্ত দিয়েছিল ।তাই আমাদেরকে শুধু ১৬ বছরের ইতিহাস কে সামনে আনলেই হবে না বরং ৪৭ থেকে ৭১ ,৭১ থেকে ২০২৪ সকল ইতিহাস সামনে রেখেই আগামীর সংবিধান সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে কারণ নির্বাচনের পরে কোন নির্বাচিত স্বৈরাচার তৈরি হোক এটা আমরা চাই না। কোন নির্বাচিত সরকার দেশের স্বার্থে কোন সংস্কার করবে এটা আমরা বিশ্বাস করিনা। তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন দিতে হবে ।
শাখা সভাপতি মোঃ মাসুদ গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহ জামাল গাজী সোহাগ,প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুর উদ্দিন খান,এইচ এম নিজাম, চাঁদপুর সদর উপজেলা সভাপতি ডাক্তার মোঃ বেলাল হোসাইন প্রমুখ।
ফম/এমএমএ/