নিজের উদ্যোগে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করল বগুড়া সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। সে পিএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়েছিল।
শিক্ষার্থী জানায়, আমার ছোটবেলা হতেই পড়ালেখা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই আমার বিয়ের কথা চালছিল। এখন আমাকে বিবাহ দিতে আমার মা বাবাকে আমি নিষেধ করি। তারপরও আমার বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ঘটনাটি আমার মাদরাসার শিক্ষকদের অবহিত করি।
সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মান্নান বলেন, শিক্ষকদের থেকে বিষয়টি জনার পর ওই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছিলাম। উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপে কিশোরী বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মাদরাসা অধ্যক্ষের নিকট হতে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীর বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তার বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পৌর সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর রিনা বেগম, অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান, শিক্ষক ফজলে রাব্বী, এ কে এম মকবুলার রহমান সোহেল, রেজাউল করিম, শ্যামা কান্ত ঘোষসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলায় বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশাসনের সার্বক্ষণিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।-খবর কালেরকন্ঠ অনলাইন।
ফম/এমএমএ/