ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে : অ্যাড. শাহজাহান খান

'পৌর ৬ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে'

চাঁদপুর: চাঁদপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে দেশ ও জাতির কল্যাণ , সান্তি কামনায় আলোচনা সভা দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ মার্চ) বাদ আসর চাঁদপুর আল আমিন স্কুল এন্ড কলেজের হল রুমে পৌর ৬ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি ও শহর সূরা সদস্য মোঃ ফারুকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর শহর জামায়াতে ইসলামীর আমির এ্যাডভোকেট শাহাজান খান।

ইফতার মাহফিলে প্রধান অতীতের বক্তব্যে এ্যাডভোকেট শাহাজান খান, রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, পবিত্র রমজান মুসলিম জাতির জন্য এক অমূল্য উপহার। এটি কেবল একটি ধর্মীয় মাস নয়, বরং আত্মবিশ্বাস, সহমর্মিতা, পবিত্রতা ও নৈতিক উন্নতির একটি বিশেষ সময়। রমজান মাসে সিয়াম পালন (রোজা রাখা) মানুষের আত্মশুদ্ধি, মনোভাবের পরিবর্তন এবং সামাজিকভাবে একে অপরের প্রতি সহানুভূতির অভ্যস তৈরি করে।

রমজান মাসের মাধ্যমে মুসলিমরা আল্লাহর কাছ থেকে নাজাত পাওয়ার জন্য নিজেদেরকে শুদ্ধ করতে, পাপ থেকে বিরত থাকতে এবং ইবাদত ও দানে মনোনিবেশ করতে সচেষ্ট হন। এছাড়া রমজান মাসে কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার কারণে এই মাসের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। কোরআন মানুষকে সৎ পথে চলার জন্য দিকনির্দেশনা দেয় এবং এই মাসে কোরআন তিলাওয়াত ও ইবাদত বৃদ্ধি পায়।

এছাড়া, রমজানের মধ্যে “জাকাত” তথা দানের গুরুত্ব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রোজা রাখা শুধু খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা নয়, বরং অন্যদের প্রয়োজনের প্রতি সহানুভূতি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দানের মাধ্যমে সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা করার একটি উপায়।

এ্যাডভোকেট শাহাজান খান আরো বলেন, রমজান মুসলমানদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য ও দানের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে, যা তাদের পার্থিব এবং আধ্যাত্মিক জীবনে সাফল্যের দিকে পরিচালিত করে। এর মাধ্যমে তারা একে অপরের প্রতি আরও বেশি সহানুভূতিশীল হয় এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।

বর্তমানে ধর্ষণের ঘটনা দেশে এবং বিশ্বব্যাপী একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সমাজে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে এটি একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা হয়ে উঠেছে। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে, যেমন শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব, নারীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, আইন প্রয়োগে দুর্বলতা, এবং পারিবারিক ভাঙন।

ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে এবং এর প্রতিকার নিশ্চিত করতে হবে। সরকার ও সমাজের উচিত ধর্ষণের প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতি ও সহায়তা প্রদান করা। আইন এবং শাস্তির মাধ্যমে এই অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা জরুরি, যেন অপরাধীরা যাতে কোনোভাবে ছুটে না যায় এবং সমাজে শাস্তি নিশ্চিত হয়।

একজন নারীর নিরাপত্তা, সম্মান এবং মানবাধিকার রক্ষা করা সমাজের সকলের দায়িত্ব। ধর্ষণ প্রতিরোধে, সমাজে নারীর সমঅধিকার এবং অবিচল নৈতিকতার বিকাশ অপরিহার্য।

৬ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি, আলহাজ্ব মোঃ কবির হোসেন খান এর পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চাঁদপুর জেলা সভাপতি অধ্যাপক রুহুল আমিন, তরপুরচন্ডি ইউনিয়ন ওয়েল ফায়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর  বন্দুকশী,সংগঠনের বাইতুল মাল সম্পাদক, মোঃ মাসুম চৌধুরী প্রমুখ।

দোয়া ও ইফতার মাহফিলে ৬ নং ওয়ার্ড জামাতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফম/এমএমএ/

মাইনুল ইসলাম | ফোকাস মোহনা.কম