দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি চাহিদায় ঘাটতি আছে : কৃষি অধিদপ্তরের ডিজি

মতলব উত্তরে মাঠ দিবস ও সেমিনার 

মতলব উত্তর (চাঁদপুর): কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ ছাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি চাহিদা অনেক ঘাটতি আছে। আমাদের দেশের কৃষক ভাইরা বেশিরভাগই লাভজনক ফসল উৎপাদন করার আগ্রহ থাকে। কিন্তু আমাদের সকলকে বুজতে হবে খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পুষ্টি ও তেলজাতীয় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। তা না হলে আমরা দিন দিন অপুষ্টিতে ভুগতে থাকবো। সুস্থ থাকতে হলে ফলজ পুষ্টির বিকল্প নেই।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে জেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সাদুল্লাপুর গ্রামে মাঠ দিবস ও সেমিনারে প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।

ছাইফুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা মাঝে মাঝে লক্ষ্য করি কৃষক ভাইদের কৃষক বলে ইনসাল করা হয়। কিন্তু আমাদের কৃষকরাই দেশের প্রধান উৎপাদন শক্তি। কৃষকরা যদি উৎপাদন না করতো তাহলে আমরা খাদে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারতাম না। যেমন করোনাকালীন সময়ে সকল শ্রেণী পেশার মানুষই কর্ম থেকে দুরে ছিলেন। কিন্তু কৃষকরা কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। তারপরও করোনাকালীন ৪০% উৎপাদন কমে গিয়েছিল। তবে কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গত দুই বছরে ২০% বেড়েছে।  তাই কৃষক ভাইদেরকে ছোট করে দেখার কোনও সুযোগ নেই।

কৃষির ডিজি বলেন, একটি মহলের সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন কমেছে। কারণ তেল জাতীয় খাদ্য যেমন সরিষা, তিল ও বাদাম এগুলো উৎপাদন হলে তেল ব্যবসায়ীদের আমদানি করা বন্ধ হয়ে যাবে। সরকার প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি তেল আমদানি করে থাকে। কিন্তু এই তেলের নামে আমরা কি খাচ্ছি। এগুলো আসলে আসল সয়াবিন তেল না। সবচেয়ে পুষ্টিকর ও নিরাপদ তেল হল নিজেরা তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন করতে পারলে। সুতরাং পুষ্টি চাহিদা পূরণে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে আমাদের সকলকে আরো আগ্রহী হতে হবে।

কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন, ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী। আরো বক্তব্য রাখেন, সিকোটেক্স এগ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবিএম নাছির উদ্দিন, চাঁদপুরের উপপরিচালক আবু তাহের প্রমুখ।

সেমিনারে স্থানীয় এলাকার অনেক কৃষক কৃষাণী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার শেষে সিকোটেক্স এগ্রো লিমিটেডের চাষ করা ড্রাগন বাগান ঘুরে দেখেন ডিজি ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

ফম/এমএমএ/

আরাফাত আল-আমিন | ফোকাস মোহনা.কম