দেবরকে অপহরণ করে ইমাম হাসান লঞ্চের কেবিনে নিয়ে হত্যার চেস্টা, আটক ২

চাঁদপুর : চাঁদপুরে সম্পত্তিগত বিরোধে আপন প্রবাসী ভাইয়ের প্ররোচনায় তার স্ত্রী, ভাবী আফরোজা বেগম, পরকিয়া প্রেমিক মো: নূরে আলম কর্তৃক আপন দেবরকে অপহরন করে লঞ্চের কেবিনে নিয়ে হত্যার চেস্টা কালে লঞ্চের অপর যাত্রীদের সহায়তায় পুলিশ দেবর বিল্লাল হোসেনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

এ সময় নৌ-পুলিশ কর্তৃক অপহরনকারী ভাবী আফরোজা ও পরকিয়া প্রেমিক নূরে আলমকে আটক করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে চাাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে যাত্রীবাহি লঞ্চ ইমাম হাছানের কেবিনে।

চাঁদপুরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ফিল্মি কৌশলে ভাবি তার পরকীয়া প্রেমিক কর্তৃক আপন দেবরকে অপহরণ করে হাইচ একটি গাড়িতে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা ভয় ভীতি প্রদশর্ন করে জোরপূর্বক দেবর বিল্লাল হোসেনকে ইমাম হাছান লঞ্চের কেবিনে নিয়ে হত্যার করার চেষ্টা কালে দেবরের ডাক চিৎকারে অপর যাত্রীদের সহায়তায় নৌ-পুলিশ দেবর অপহিতা বিল্লাল হোসেনকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় অপহরণের সাথে জড়িত আপন ভাবি আফরোজা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মোঃ নূরে আলমকে আটক করেছে পুলিশ। নৌ পুলিশ আটক দুইজন অপহরণকারী ও অবহিতা দেবর বিল্লালকে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী মুন্নি আক্তার বাদী হয়ে রায়পুর থানায় তিনজনকে আসামি করে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ৩নাম্বার চরমোহনা ইউনিয়নের ৬নাম্বার ওয়ার্ডের শফিকুল্লাহ হাওলাদারের ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে তার ভাই প্রবাসী কামরুল ইসলাম বাবুর সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছিল।

সেই সূত্র ধরে প্রবাসী ভাইয়ের প্ররোচনায় ভাবি আফরোজা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মুহরি নুরে আলম, বিল্লাল হোসেনকে অপহরন করে হত্যার পরিকল্পনা করে।

দেবর বিল্লাল হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে হায়দারগঞ্জ বাজারে আসার পর তার ভাবি ও পরকীয়া প্রেমিকসহ চারজন জোরপূর্বক তাকে ধরে হাইস গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করে জায়গা লিখে নেওয়ার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়।

পরবর্তীতে তারা তাকে গাড়িতে করে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে (লঞ্চঘাটে) এনে ইমাম হাসান লঞ্চের কেবিনে নিয়ে আটক রেখে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়। এ সময় বিল্াল ডাক চিৎকার দিলে আশেপাশের যাত্রীরা দৌড়ে এসে অপহরণকারী ভাবি ও তার প্রেমিককে ধরে নৌ পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপর অপহরণকারী চারজন পালিয়ে যায় বলে আটককৃতরা জানান।

এ ঘটনাটি রায়পুর থানার হওয়ার কারণে বাদী মুন্নি আক্তার সেখানে মামলা দায়ের করলে পরক্ষনে রায়পুর থানার পুলিশ চাঁদপুর সদর মডেল থানা থেকে আটক হওয়া দুই অপহরণকারীকে আইনী প্রক্রিয়ায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপহিতা বিল্লাল হোসেন জানান, সম্পত্তির জন্য তারা বাজার থেকে আমাকে তুলে নিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে লঞ্চে উঠিয়ে কেবিনের ভেতর মেরে নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এ ঘটনায় আপন ভাবি ও তার পরকীয়া প্রেমিকসহ যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান অপহরনের শিকার বিল্লাল হোসেন তার পরিবার ও স্বজনরা।

ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম