মতলব উত্তর (চাঁদপুর): মতলব উত্তর উপজেলায় দেড় মাস বয়সী নুসাইবা পুলিশের সহযোগীতায় মায়ের কোল ফিরে পেলো।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ তার মায়ের কোলে তুলে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রাঢ়ীকান্দি গ্রামে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বৃষ্টি আক্তার বাদী হয়ে শ্বাশুড়ি আরেফা খাতুন, স্বামী ইমরান মৃধা ও ননদ মরিয়ম আক্তারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, গত বছর ২৪ এপ্রিল উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রাঢ়ীকান্দি গ্রামের তফাজ্জল হোসেনের মেয়ে বৃষ্টি আক্তারের সাথে একই গ্রামের শাহ আলম মৃধার ছেলে ইমরান মৃধার সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে ইসলামী সরাশরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে নুসাইবা আক্তার (০১ মাস ১৩ দিন বয়সী) এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিবাহের পর থেকে তাদের মধ্যে বিবেধ চলছিল। গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টি আক্তারের কাছ থেকে একটি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে শিশু নুসাইবা আক্তারকে জোড় করে রেখে দেয় ইমরান মৃধা ও তার পরিবার। পরে তারা নুসাইবাকে কিছু টাকার বিনিময়ে অন্যত্র দত্তক দিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় নুসাইবাকে উদ্ধার করতে তার মা বৃষ্টি আক্তার থানা পুলিশের সহায়তা নেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার এসআই শাহাদাৎ হোসেন নুসাইবাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল হক নুসাইবাকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন।
শিশু নুসাইবার মা বৃষ্টি আক্তার বলেন, আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আমার বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুকে ফিরে পেয়েছি এবং পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমার স্বামী পরকীয়া প্রেম করে আরেকটি বিয়ে করেছে। এরপর আমাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। পরে আমার শিশু সন্তানকে তারা জোড় করে রেখে দিয়েছিল।
ওসি মো. রবিউল হক বলেন, বৃষ্টি আক্তারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিশুটি উদ্ধার করার জন্য আমরা চেষ্টা করি। কয়েকটি জায়গা অভিযান করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বাদীনির শ্বশুড়কে চাপ দিলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করি। আজকে তাকে তার মায়ের কোলে তুলে দিয়েছি।
ফম/এমএমএ/