তৎকালীন সময়ে আ. লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই জেলহত্যা

।। প্রফেসর ড. মো. নাছিম আখতার।। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল ঘাতকরা। কিন্তু তাদের মধ্যে ঘোরতর আশঙ্কা ছিল নিকটতম সময়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরে আসবে। ক্ষমতায় ফিরে আসলে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনো নেতা আওয়ামী লীগ যাতে খুঁজে না পায় সেই ব্যবস্থাই ঘাতকরা করে।

১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাত্র তিন মাসেরও কম সময়ে এমন বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটায় ঘাতকরা বলে মন্তব্য করেছেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নাছিম আখতার।

বুধবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবসে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, তবে এর মাধ্যমেও বাংলাদেশে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে রুখে দিতে পারেনি ঘাতকরা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দলটির হাল ধরেছেন এবং বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

ফম/এমএমএ/

ফোকাস মোহনা.কম