তরমুজের গুড় উৎপাদন করে নতুন সম্ভাবনা

সময়মতো তাল ও খেজুর গাছের রস সংগ্রহে লোক (গাছি) না পাওয়ায় দিন দিন হারাতে বসেছে গুড় শিল্প। একই সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলে কমছে তাল ও খেজুর গাছ। তবে এবার খুলনার ডুমরিয়ায় তরমুজ থেকে গুড় উৎপাদন করে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছেন চাষিরা। পাকা তরমুজ থেকে নির্যাস (রস) বের করে তা দুই থেকে তিন ঘণ্টা চুলার আগুনে জাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছে। এটি বাজারে পাওয়া অন্য গুড়ের মতো মিষ্টি। এরই মধ্যে গুড় তৈরির নতুন এই পদ্ধতি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে চাষিদের মাঝে। তারা নতুন এই গুড়ের নাম দিয়েছে ‘তোগুড়’।

জানা যায়, ডুমুরিয়ার সাহস ইউনিয়নের ছোট বন গ্রামের চাষি মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল এই গুড় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, পাঁচ লিটার তরমুজের জুস থেকে এক লিটার গুড় পাওয়া যায়। খেতে সুস্বাধু অনেকটা মধুর মতো। প্রথমে তরমুজের লাল অংশ ফালি ফালি কেটে তা থেকে নির্যাস (রস) বের করতে হয়। ছাকনি দিয়ে ছেঁকে শুধু রসটুকু আলাদা করে নিতে হয়। তারপর চুলার আগুনে জাল দিলে গুড় তৈরি হয়। আড়াই কেজি একটি তরমুজ থেকে প্রায় এক লিটারের মতো রস পাওয়া যাবে। ওই তরমুজ বাজারে বিক্রি করলে ৫০ টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু এ থেকে পাওয়া গুড় আরও বেশি দামে বিক্রি হবে।

জানা যায়, এপ্রিল-মে মাসে চাহিদা কমে গেলে ছোট আকারের তরমুজ কৃষকের খেতে থেকেই নষ্ট হয়। ওই সময় তরমুজের দাম পায় না কৃষক। কিন্তু ওই তরমুজ দিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারজাত করলে বাড়তি আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন জানান, তরমুজের গুড় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। সিজনের শেষের দিকে অনেক তরমুজ খেতে থেকেই নষ্ট হয়। এগুলো গরুর ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তরমুজ থেকে গুড় তৈরি করা গেলে তা বাজারে কেজি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। উপকূলীয় লবণাক্ত জমিতে তরমুজ চাষ করলে ও উৎপাদিত তরমুজ থেকে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করলে লাভবান হবে চাষিরা।-খবর বিডি প্রিতিদিন।

ফম/এমএমএ/

ফোকাস মোহনা.কম