চাঁদপুর: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত তথ্যআপা: তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) অধীন উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ছেংগারচর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের ওটারচর গ্রামের সরকার বাড়িতে মতলব উত্তর উপজেলা তথ্যকেন্দ্রের আয়োজনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে করনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত উঠান বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতলব উরের সহকারী কমিশনার (ভৃমি) হিল্লোল চাকমা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের খান।
সভাপতিত্ব করেন মতলব উত্তর তথ্যসেবা কর্মকর্তা (তথ্যআপাঃ প্রকল্প ২য় পর্যায়) তাসলিমা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন দুইজন তথ্যসেবা সহকারী এবং ৫০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থী।
বিশেষ অতিথি অ্যাডভোকেট আবদুল কাদের খান বলেছেন, বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আইনগত সুবিচার প্রাপ্তি একটি আধুনিক পদ্ধতি, যা নাগরিকদের জন্য সুবিধাজনক, সাশ্রয়ী এবং দ্রুত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এতে আইনি প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, নাগরিকবান্ধব এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে।
তিনি বলেন, সরকার অসহায় ও দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য বিনা খরচে আদালতে মামলা করার সুযোগ প্রদান করার সুযোগ করে দিয়েছে। এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো, সমাজের নীচু স্তরের মানুষ, যারা আর্থিকভাবে দুর্বল এবং তাদের জন্য আইনগত সহায়তা পাওয়া কষ্টসাধ্য, তাদেরকে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য লিগ্যাল এইড এর মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা। এটি মূলত একটি মানবাধিকার উদ্যোগ, যার মাধ্যমে অসহায়রা তাদের আইনি অধিকার রক্ষা করতে পারে।
কাদের খান বলেন, সরকারি খরচে অসহায়দের মামলা দায়ের করার জন্য সহযোগিতা দেওয়া একটি মানবিক ও সামাজিক সেবা ব্যবস্থা, যা বিশেষ করে দরিদ্র ও গরীব মানুষদের জন্য আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে। বাংলাদেশের আইনব্যবস্থায়, যারা আর্থিকভাবে অক্ষম বা গরীব, তাদের পক্ষে নিজেদের অধিকার রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে সরকার নির্ধারিত কিছু আইনগত সেবা প্রদান করে থাকেন।
তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি মানুষ যে আর্থিকভাবে মামলা চালানোর সামর্থ্য রাখেন না, তিনি তার অধিকার রক্ষা করতে সক্ষম হন। এই ব্যবস্থা নিশ্চিত করে যে, দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব, তাদের আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে। আইনি সচেতনতা এটি সমাজের মধ্যে আইনি সেবার প্রতি আস্থা তৈরি করে এবং জনগণের মধ্যে আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
ফম/এমএমএ/