ডিজিটাল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর:  শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, আজকে আমরা এমন একটি অনুষ্ঠানে এসেছি, যেটা বাংলাদেশকে বদলে দেয়ার জন্য বড় ভূমিকা রেখেছে। এটা হচ্ছে আমাদের নাগরিক সেবার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপিত হয়েছিলো ১১ বছর আগে। সেই সেবা দেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে নাগরিকরা পেতে শুরু করেছিল। এক সময় এসব সেবা জেলা পর্যায়েও পাওয়া যেতনা, তা এখন হাতের কাছেই ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যার ফলে মানুষের হয়রানি, অর্থ ও সময় কমেছে এবং অনেক ধরণের সেবা একই স্থানে পাচ্ছে। এই যে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হলো, আর তা হয়েছে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ কে করলেন? এটি করেছেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তাকে এই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে ডিজিটাল সেন্টারের ১১ বছর পূর্তি উদযাপন ও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ই-সেবা ক্যাম্পেইন-২০২১’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হাসান।

উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ পিপিএম বার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছাম্মৎ রাশেদ আক্তার, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী প্রমূখ।

উদ্যোক্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাজমুল হাসান ও আইনুন্নাহার।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সাড়ে ৪ হাজার ডিজিটাল সেবা সেন্টার শুধুমাত্র সেবাই দিচ্ছেন না বরং প্রত্যেকটি সেন্টারে একজন পুরুষ ও একজন নারী উদ্যোগক্তা তৈরী করেছে। এসব উদ্যোগক্তাদের মধ্যে অনেকেই কাজ শিখে এবং মানুষকে সেবা দিয়ে আরো বড় জায়গায় এবং কেউ কেউ দেশের বাহিরে গিয়ে কর্মসংস্থানে যোগ দিয়েছেন। আমি মনে করি এখান থেকে শিখে একজন উদ্যোগক্তা আরো লোক তৈরী করবেন, নিজেদের মেধা বিকোশিত করবেন এবং আরো বড় পরিসরে গিয়ে কাজ করবেন। কারণ আপনি একজন দক্ষ। উদ্যোগক্তা হিসেবে তৈরী করার জন্যই আপনাদেরকে এই ডিজিটাল সেবা সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে। আপনাকে এখানেই সারা জীবন থাকতে হবে সেটা নয়, আপনার আরো বড় উদ্যোগে আরো লোকজনের কর্মসংস্থান হবে সেটাই হতে হবে উদ্দেশ্যে।

মন্ত্রী বলেন, এই ১১ বছরে ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে আসলেই একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। সেই সেবা এখন সকলেই পাচ্ছে। গ্রামে বসেই পাসপোর্টের আবদেন করা, ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন, পরীক্ষার ফলাফল যানা যাচ্ছে। মাননীয় প্রধামন্ত্রী যে কর্মসূচি দিয়েছেন সেটিত আগ থেকেই কার্যকর শুরু হয়েছে। অর্থাৎ এসব সেবার মাধ্যমে গ্রামে বসেই শহরের সুবিধা পাচ্ছেন। গ্রাম শহর হয়ে যাওয়া মানে ইট কনক্রিটে জঙ্গল হয়ে যাবে না, মানে হচ্ছে গ্রামে বসেই শহরের সকল নাগরিক সুবিধা পাব। কিন্তু গ্রামের যে সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট তা যেন নষ্ট না হয়। আমাদের শহরে শ^াস নেয়ার জায়গা নেই, আকাশ দেখার যায়গা নেই। গ্রামে সব চাষাবাদ থাকবে, গ্রামের সকল বৈশিষ্ট থাকবে কিন্তু শহরের সকল নাগরিক সুবিধা পাবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বেলুন উড়িয়ে ও কেক কেটে ডিজিটাল সেন্টারের ১১ বছর পূর্তি উদযাপন ও ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ই-সেবা ক্যাম্পেইন-২০২১’ উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
ফম/এমএমএ/