১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার নেপথ্যে যারা ছিল সেইসহ ষড়যন্ত্রকারী ও কুশীলবদের ধরে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যাকাণ্ডের দিন বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সামনে একথা বলেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতীয় চার নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রধান ভূমিকায় থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
কলঙ্কিত এই হত্যাকাণ্ড স্মরণে প্রতি বছর ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গতবারের মতো এবারও জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সীমিত পরিসরে।
বুধবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে সংগঠনের সব পর্যায়ের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করে আওয়ামী লীগ।
সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। এ সময় ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্তদের বিচারের রায় কার্যকরের পর নেপথ্যে কুশীলবদের বিষয়ে তদন্ত কমিশন হবে।-খবর ঢাকা টাইমস্।
ফম/এমএমএ/