
চাঁদপুর : জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ব্যাক্তিগত চিকিৎসক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ মো. আব্দুল কুদ্দুস এর আশুরোগ মুক্তি কামনায় দোয়া এবং জিয়া পরিষদ চাঁদপুর জেলা কমিটির প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকাস্থ ইউরেশিয়া কনভেনশন হলে দোয়া ও সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।
পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত, দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মুকবুল হোসেন।
দোয়া ও সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. মো. আব্দুল্লাহীল বাকী। সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন লিটনের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে নব কমিটির পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাগত বক্তব্যে সভাপতি অ্যাড. মো. আব্দুল্লাহীল বাকী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামান করি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থ্যতা কামনা করি। কারণ তাদের এই আন্দোলনের মাধ্যমে দীর্ঘ বছর পর আমরা একত্রিত হওয়ার সুযোগ হয়েছে। আমাদের কাজ হচ্ছে লুটতরাজ, দখন ও চাঁদাবাজি বন্ধে প্রত্যেককে নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ করা। আমাদের এই কমিটিতে আইনজীবী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার যোগ্য ব্যাক্তিরা স্থান পেয়েছেন। সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সঞ্চালকের বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন লিটন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) ও অঙ্গসহযোগী অনেকগুলো সংগঠন রয়েছে। তবে জিয়া পরিষদ হচ্ছে পেশাজীবীদের নিয়ে। চাঁদপুর জেলা কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তারা সকলেই মেধাবী ও যোগ্য। প্রত্যেক সদস্যই সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখেন। আজকের সাধারণ সভায় আমরা সংগঠনের সমৃদ্ধির জন্য পরামর্শ ও বক্তব্য শুনেছি। পর্যায়ক্রমে উপস্থাপিত পরামর্শগুলো আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে।
সভায় বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট আজহার, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সভাপতি কৃষিবিদ সরোয়ার আলম ভুলু, মো. সলিম উল্লাহ ছলিম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এ.এন.এম মাইনুল ইসলাম, অধ্যাপক এবিএম শাহ আলম টিপু, যুগ্ম সম্পাদক এসএম মোরশেদ সেলিম।
আরো বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াছ মিয়া, প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম, অ্যাডভোকেট তোহিদুল ইসলাম তরুন, অ্যাড. মঞ্জু চৌধুরী, অ্যাড. আক্তার হোসেন সরকার , অধ্যাপক মো. হাফিজুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল শাহীন, প্রধান শিক্ষক মো. সফিউল্লাহ সরকার, প্রধান শিক্ষক (সপ্রাবি) মো. আবুল কাশেম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইদ্রিস, ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজাহান, ডাঃ খোরশেদ আলম মানিক, অধ্যক্ষ মাওলানা মুকবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, অ্যাডভোকেট বেনি আমিন, অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম পাটওয়ারী, মিজানুর রহমান, মো. মোতাহের হোসেন, অধ্যাপক নওশের আহমেদ, কাজী সোহাগ, অধ্যাপক মো. ফজলুল হক, মো. ওয়ালিউর রহমান আদিব ও মো. শাহজাহান সিদ্দিকী।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা কথা বলার সুযোগ পাইনি। অনেক প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে চলতে হয়েছে। মামলা-হামলা ও নির্যাতন সব কিছুর শিকার হতে হয়েছে। এখন আমাদেরকে বাস্তবতা মেনেই কাজ করতে হবে। আগামী জাতীয় বিপ্লবস সংহতি দিবস পালিত হবে। এতে আমাদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ থাকবে। প্রত্যেক উপজেলা কমিটি করার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক কমিটির মাধ্যমে সমন্বয় করে করার পরামর্শ দেন বক্তারা।
ফম/এমএমএ/চৌইই/