
চাঁদপুর : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সফল সমাপ্তি হলো জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এবছর মেলার নতুন স্থানে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে ৮ ডিসেম্বর থেকে উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে মেলা মাঠে।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সমাপনী দিনে বিজয় মেলা মঞ্চে সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা, সাংস্কৃতিক ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে বিজয় মেলার স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
সমাপনী দিনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধ দীর্ঘ কারভোগের পর ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি দেশে;ফিরে আসেন, কিন্তু দেশদ্রোহিরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সপরিবারে হত্যা করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তরুন বন্ধুদের কাছে আমাদের মিনতী, যুদ্ধ করে আমি আহত হয়েছি, লাখো মানুষ;শহীদ হয়েছে। আজকের তরুনরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে ওঠোক, তাহলেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ করা স্বার্থক হবে। তাহলেই ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। মরে গেলেও আমরা শান্তি পাব আসাদের উত্তোরসুরীরা সোনার বাংলা বির্নিমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান কিরন। সাংস্কৃতিক পরিষদের আহবায়ক তপন সরকারে পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন মহাসচিব হারুন আল রশিদ, স্মৃতিচারন পরিষদের আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাষ্টার, সাবেক মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মহসিন পাঠান আলোচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার পূর্বে বিজয় মেলার কর্মকর্তা প্রয়াত বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী তাহমিনা হারুন ও ইয়াহিয়া কিরনসহ সকল প্রয়াত কর্মকর্তাদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গন্ধুকে নিয়ে ছবি আঁকা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আবৃত্তি, দেশের গান, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, দেশাত্ববোধক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান ও লোক নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে বিজয় মেলার স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন মেলার কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় নাট্য পরিষদের আহবায়ক গোবিন্দ মন্ডল, সদস্য সচিব এম আর ইসলাম বাবু, মঞ্চ পরিষদের সদস্য সচিব মানিক দাস, স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক মনির হোসেন মান্না, সদস্য সচিব অভিজিত রায় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী শেষে সংগীত পরিবেশন করেন বিজয় মেলার সাথে সংশিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা।
ফম/এমএমএ/