
ছবি: সংগ্রহীত।
জাতি হিসেবে কি আমরা, সত্যি ই এতো এতো কৃপণ ? এই বাংলার মায়েরা বহু বিশ্বজয়ী কুরআনে হাফেজের জন্ম দিয়েছে। যে সকল কুরআনে হাফেজরা বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছে প্রতিনিয়ত। ক্রিকেট হোক, ফুটবল হোক বা কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বজয়ী হোক সকলে বাংলার সন্তান, বাংলা মায়ের সন্তান। সবাই কে সমহারে জাতি হিসেবে আমাদের সম্মান করা উচিৎ।
ধর্ম যে যাই পালন করি না কেন, ইসলামই নিরুৎসাহি করেছে অন্য ধর্মের বিষয়ে যেন বাড়াবাড়ি না করি। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা কারও দুশমন না, আর কেউ যদি ইসলামের নামে মুসলমান সেজে কারও বিন্দু পরিমাণ ও অনিষ্ট করে তাহলে বুঝতে হবে তার কাছে প্রকৃত ইসলামের অনুশাসন আজও পৌঁছেনি বা সে আজও বিশ্ব জাহানের শান্তির দূত, শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন আদর্শ বুঝতে পারেনি বা ধারণ করতে সক্ষম নয়।
দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযোদ্ধের মধ্যে দিয়ে যে বাংলাদেশ আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পেয়েছি। যেই বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে ইসলামী ফাউন্ডেশন গঠন করে গেলেন ইসলামের কল্যাণে কাজ করার জন্য, সেই দেশে বিশ্বজয়ী কুরআনে হাফেজদের যথাযথ মর্যাদায় সম্মান করা হয় না। সেই দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন হবে কোন পথে ? আমি জানি না !
বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি ব্যক্তি জীবনে যেমন একজন ধর্মভীরু মুসলমান, তেমনি করে অন্যান ধর্মের প্রতি সহনশীল আদর্শবান এক মানুষ। এমন একজন প্রধানমন্ত্রী দেশে থাকা সত্ত্বেও বিশ্বজয়ী কুরআনে হাফেজদের রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্মান জানানো হয় না ! কেন হয় না, আমার বুঝে আসে না ।
আশা করি আমাদের মানবতার জননী, বিশ্ব রাষ্ট্র নায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশে থেকে যারা দেশ মাতৃকার প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন তারাও বিষয় টা গুরুত্বের সঙ্গে ভাববেন এবং এই দেশের সংখ্যাঘরিষ্ঠ জনতার ভাবাবেগ বুঝতে পারবেন ।
ইনশাআল্লাহ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
ইকবাল আজিজ শাহীন
সাধারণ সম্পাদক,
কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগ
কচুয়া, চাঁদপুর।