
মতলব উত্তর (চাঁদপুর): শিশু নুশরাত জাহানের ৭ম জন্মদিন ছিল ৮ মে রবিবার। সেই জন্মদিন পালনের জন্য কেক কিনে বাড়ি ফিরল লাশ হয়ে।
রোববার দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয় সে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামে। তার পিতার নাম বিল্লাল হোসেন।
নুসরাতের মায়ের বরাত দিয়ে তার মামা রুবেল বেপারী বলেন, নুশরাতের মা তাদের দুই বোনকে সাথে নিয়ে মতলব থেকে জন্মদিনের কেক কিনে সিএনজি যোগে নন্দলালপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে তাদের বাড়ির সামনে বেরীবাঁধের উপর এসে নামে। সেখানে নুশরাতের মা সিএনজির ভাড়া দেওয়ার সময় নুশরাত দৌড়ে রাস্তা পাড় হওয়ার চেস্টা করে। এসময় ঢাকা-চাঁদপুরগামী একটি প্রাইভেটকার নুসরাতকে মারাত্মকভাবে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই নুশরাত গুরুতর আহত হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে গত রোববার রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নুশরাতের মায়ের চোখের সামনে এমন ঘটনার পর তিনি যেন বাক প্রতিবন্ধী হয়ে যান। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়াটা একজন মায়ের কাছে বড়ই বেদনাদায়ক।
প্রাইভেটকার চালক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার গাড়ির মালিক রিয়াজ উদ্দিন রাতুল তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চাঁদপুর যাওয়ার সময় ওই এলাকায় সিএনজির পিছন থেকে হটাৎ করে একটি মেয়ে দৌড় দিয়ে গাড়ির সামনে এসে পরে। মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে গাড়ি রাস্তা থেকে নিচে নামিয়ে দেই। আরেকটু নিচের দিকে গেলে আমি ও গাড়ির মালিকের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যেত। সম্পূর্ণ অসচেতনতার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটল। এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত।
এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নুশরাতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা হওয়ায় মামলা করতে রাজি না তার পরিবার। নুশরাতের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। ৬ বছর বয়সী নুশরাত জাহান স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়তো।
ফম/এমএমএ/