ছ’ বছর পরে ফের বড় পর্দায় পদ্মিনী

ছবি: সংগ্রহিত

দীর্ঘ ছ’ বছর পরে ফের বড় পর্দায় পদ্মিনী কোলাপুরী। সাত ও আটের দশকের সুপারহিট নায়িকা এ বার পেশওয়া নানা সাহেবের স্ত্রী গোপিকা বাঈ। আশুতোষ গোয়ারিকরের পরবর্তী ছবি ‘পানিপথ’-এ তাঁকে দেখা যাবে এই তেজস্বিনীর ভূমিকায়। এর আগে পদ্মিনীকে শেষ বার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালের ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’ ছবিতে।

ঐতিহাসিক পানিপথে বারবার বিদেশি শক্তির মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের স্থানীয় শাসকরা। প্রথম পানিপথের যুদ্ধ হয়েছিল ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে বাবর ও ইব্রাহিম লোদির মধ্যে। চল্লিশ বছর পরে ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে মুখোমুখি হন আকবর ও হিমু। ১৭৬১ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আফগান শাসক আহমদ শাহ আবদালির বিরুদ্ধে সম্মুখসমরে মরাঠাশক্তি। পানিপথের এই তৃতীয় যুদ্ধ অর্থাৎ আফগান-মরাঠা দ্বৈরথই আশুতোষের ছবির বিষয়।

অষ্টাদশ শতকের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধগুলির মধ্যে ভয়াবহতম ছিল এই যুদ্ধ। দু’পক্ষের প্রায় সত্তর হাজার সৈন্য প্রাণ হারিয়েছিলন। বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেও আফগানবাহিনীর হাতে পরাজিত হয়েছিল পেশওয়া শক্তি। পরে যুদ্ধবন্দি এবং সাধারণ মানুষের উপর বীভৎস হত্যালীলা চালিয়েছিল আফগান সৈন্যরা।

আফগান শাসক আবদালির ভূমিকায় ছবিতে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মরাঠা সেনাপতি সদাশিবরাও ভাউয়ের চরিত্রে রূপদান করেছেন অর্জুন কপূর। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে প্রাণ হারান সদাশিবরাও ভাউ। তিনি ছিলেন পেশওয়া নানাসাহেবের তুতো ভাই এবং মূল ভরসাস্থল। নানাসাহেবের স্ত্রী গোপিকাবাঈ চেয়েছিলেন যুদ্ধের নেতৃত্ব দিক তাঁদের ছেলে বিশ্বাস রাও। কিন্তু নানাসাহেব আস্থা রেখেছিলেন সদাশিবরাওয়ের উপরেই। ছবিতে তাঁর স্ত্রী পার্বতী বাঈয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৃতী শ্যানন। স্বামীর সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে মরাঠা শিবিরে ছিলেন পার্বতী বাঈ।

ফম/শাপ/

বিনোদন ডেস্ক | ফোকাস মোহনা.কম