
চ্যানেল আই এর টেলিফিল্ম
নীলার লাল শাড়ী
রচনা
তারেক মাহমুদ
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা
জহির খান
চিত্রগ্রহণ
নিয়াজ মাহবুব
অভিনয়ে – অর্পনা ঘোষ, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, আবদুল্লাহ রানা, ইশরাত জাহান, আহমেদ জিসান
সাহেলা আক্তার, মোঃ শামীম, লাভলী আক্তার, নাসিক মাহি
কাহিনী সংক্ষেপ-
বাবা মায়ের আদরের মেয়ে নীলা। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়পশোনা করে। বাবা জামশেদ চৌধুরী বড় ব্যবসায়ী। মা জুলেখা চৌধুরী গৃহিনী। বাড়ির কেয়ারটেকার রফিক। কাজের মেয়ে বিলকিস।
আদরের মেয়ে হওয়াতে বাবা মা সন্তানের সাধ আহ্লাদে কমতি রাখেনি। মডার্ণ মেয়ে। ওয়েস্টার্ণ ড্রেসে চলাফেরা করে। কাউকে কেয়ার করে না। একদিন ছাদে কাপড় শুকাতে দেয়ার কারণে তার প্রিয় একটি লালশাড়ী উড়ে যায় বাতাসে। কাজের মেয়ে বিলকিসের উপর রাগ ঝাড়ে কিন্তু কোনো কাজ হয় না। বাবা বলে ওরকম লালশাড়ী তাকে এনে দেবে কিন্তু মেয়ে রাজি হয় না। হারিয়ে যাওয়া শাড়ীটিই সে চায় যে কোনো মূল্যে।
কেয়ার টেকার রফিক পরামর্শ দেয় মাইকিং করতে। মেয়েটি রাজী হয়, বাবা মাও রাজী হতে বাধ্য হয়। রফিক একটা হ্যান্ডমাইক যোগার করে রিকশা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে মাইকিং করতে। লোকজন এমন মাইকিংয়ের খবর কখনো শোনেনি। সবাই হা করে শোনে আর মুখ টিপে হাসে। কিন্তু কাজ হয় না। মেয়ে আবার জিদ শুরু করে তার হারিয়ে যাওয়া লালশাড়ী ফিরে পাওয়ার জন্য। রফিক এবার বুদ্ধি দেয় খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য। বাবা মা মেয়ে রফিকের কথায় যুক্তি পেয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দেয় কিন্তু লাভ হয় না।
সোহান নীলাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকে নিজের একটি ফার্ম চালায়। হঠাৎ বাসা থেকে বেরোনোর সময় দেখে একটি সুন্দর লালশাড়ী তাদের বারান্দার গ্রিলে আটকে আছে। মনে হচ্ছে কয়েকদিন ধরেই আটকে আছে। সে শাড়ীটি হাতে নেয়। ভালো করে ধুয়ে নিজের রুমে এনে শুকাতে দেয়। শাড়ীটিকে খুব সে যত্ন করে। একসময় শাড়ীটির প্রেমে পড়ে যায়। শাড়ীটিকে সে নিজের গার্লফ্রেন্ড মনে করে।
নীলার জেদ বেড়ে যায়। সে যে কোনো কিছুর বিনিময়ে লাল শাড়ী ফেরত চায়। আবার রফিকের শরনাপন্ন হয় পুরো পরিবার। রফিক বলে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার মারতে হবে। সবাই রাজী হয়।
শুরু হয় পোষ্টার মারা। লেখা থাকে শাড়ীটি কেউ এনে দিলে সে যা চাইবে তাই পাবে। পথ চলতে চলতে সোহান দেয়ালের পোস্টারটি দেখতে পায়। পরে ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে। শাড়ীটি নিয়ে একদিন নীলার সামনে যায়। বিনিময়ে সে চায় নীলার ভালোবাসা। এরপর চলে ভালোবাসার নানা বাহানা। শেষ পর্যন্ত জয় হয় সোহানের…
শুটিং চলছে আনন্দ বাড়ী শুটিং ও ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে।
ফম/এমএমএ/