চাঁদপুর স্টেডিয়ামে কথাকাটাকাটি নিয়ে অতর্কিত হামলা, সাবেক ফুটবলারসহ আহত ৫

চাঁদপুর:  চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা শেষে কথাকাটাকাটি নিয়ে অতর্কিত হামলায় সাবেক ফুটবলার ( গোলকিপার ) আমিন মোল্লা সহ ৫ জন আহত হয়েছে। এদেও মধ্যে আমিন মোল্লার অবস্থা গুরুত্বর ।

শনিবার সন্ধ্যার কিছুক্ষন আগে ব্রাক্ষনবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলা দলের মধ্যকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপের খেলা শেষেই এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার বাফুফে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুরমা অঞ্চলের ফিরতী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর রেফারী খেলা চালাতে থাকলে ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলা দলের খেলোয়াড় ও দর্শকরা রেফারীর উদ্দেশ্যে গালমন্দ করতে থাকে। রেফারী ট্রাইবেকার দিয়ে কোনরকম খেলা শেষ করে দ্রুত মাঠ ছাড়েন। এরকিছুক্ষন পরেই জেলা দলের বেশ কয়েকজন উদিয়মান ফুটবলার খেলার বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে কথা বললে মাঠে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর মূল উদ্দেশ্যে ছিলো চাঁদপুরে ২টি ফুটবল একাডেমী থাকতে কেন এক একাডেমীর ফুটবলার নিয়ে দল গঠন কওে মাঠে নামে। এই নিয়ে উঠতি বয়সী ফুটবলাররা একে অপরের সাথে কথাকাটি করেন।

এক পর্যায়ে ঢাকা মোহামেডানের সাবেক ও চাঁদপুর জেলা দলের সাবেক ফুটবলার জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী শনিবারের জেলা দলের খেলার অবস্থা নিয়ে কথা বলতে থাকলে ওই সময়ে জেলা ফুটবল দলের কোচের ভাই কোচ হানিফ বকাউল তার সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। তর্কাতর্কিটি ছিলো যে চাঁদপুরের দলটি যদি ভালো মানের ফুটবল কোচ দিয়ে অনুশীলন করানো হতো তাহলে জেলা দলটি ব্রাক্ষনবাড়িয়ার সাথে পরপর দুটি ম্যাচে হারতে হতো না। তখন সিনিয়র কয়েকজন তাদেও দুজনকেই ঝগড়া করতে বারন করেন। আর সেই সময়েই মাঠে থাকা ( রোববার অনুষ্ঠিত্বব অতিথিদেও মঞ্চের সামনে) লোহার সাবাল নিয়ে তাজু বকাউল জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী ও জসিম পাটওয়ারীর উপর তার দলবল নিয়ে হামলা করেন। এই সময় সাবেক ফুটবলার আমিন মোল্লা, আলমগীর সহ কয়েকজন এগিয়ে আসলে তাজু বকাউল লোহার সাবাল দিয়ে আমিন মোল্লা সহ তার সাথে তার দলের অনান্য লোকজন মাঠে উপস্থিত সাবেক খেলোয়াড়দেও উপর হামলা চালায়। এ সময় সাবেক ও বর্তমান প্রায় ৫ জন ফুটবলার আহত হন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় খেলা দেখতে আসা দর্শকরা আমিন মোল্লাকে চিকিস্যার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত দু’গ্রুপেরই লোকজন স্টেডিয়াম এলাকা তাদেও লোকজন দিয়ে জমায়েত করে রাখেন।

এমন হামলার পরিস্থিতি দেখে খেলতে আসা ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় ও কর্মকতাগন হতভম্ব হয়ে পড়েন। স্টেডিয়ামে অনুশীলনরত কেরাতে ও শেখ কামাল একাডেমীর খেলোয়াড়রা ভয়ে স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান।

ফম/এমএমএ/

চৌধুরী ইয়াছিন ইকরাম | ফোকাস মোহনা.কম