চাঁদপুর : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত জুলাই ও আগস্ট মাসে মারামারি, হামলা, ভাংচুর, আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পৃথক ৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এই পর্যন্ত ৩৬জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া।
গত জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার এক দফা আন্দোলনের ঘটনায় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব মামলা দায়ের হয়।
সদর মডেল থানা পুলিশ জানায়, সর্বশেষ এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত আদম মিজির ছেলে মো. কামাল মিজি বাবু (৩৩)। তাকে থানা পুলিশ সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিনগত রাতে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামী হিসেবে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এছাড়া এই আসামীর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনায় ডিএমপির বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার এজহার ভুক্ত আসামী।
গত ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনায় প্রথম মামলা হয় গত ১৫ আগস্ট। এই মামলার বাদী আ. রাজ্জাক হাওলাদার। মামলায় দীপু মনি, তার ভাই টিপুসহ ৫১০জন নামীয় এবং ১২০০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
৪ আগস্ট চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও মারামারি ঘটনায় দ্বিতীয় মামলাটি হয় ২০ আগস্ট। এই মামলার বাদী সদরের ঢালীরঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম। দীপু মনি ও সেলিম মাহমুদ সহ আসামী ৬২৬জন।
একই স্থানের ঘটনায় ২৮ আগস্ট তৃতীয় মামলাটি করেন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর পিতা মুক্তার আহমেদ। এই মামায় দীপু মনি, মায়া চৌধুরী ও সেলিম মাহমুদসহ আসামী করা হয় ৬৫০জনকে। চতুর্থ এবং সর্বশেষ মামলাটি হয় গত ১৮ অক্টোবর। এই মামলার বাদী শহরের ক্লাব রোড এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন হোসেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারীসহ এজহার নামীয় ১১০জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামী ১৫০জন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় চাঁদপুরে সদর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় এই পর্যন্ত ৩৬জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে এজহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ফম/এমএমএ/