
চাঁদপুর: সুস্বাস্থ্য বা মুখরোচক স্বাদের জন্য তাজা ফল কে না খেতে চান। কিন্তু ফল সবার কপালে জুটছে না। দেশীয় কিছু ফল ছাড়া বেশিরভাগ ফলের দাম মানুষের নাগালের বাইরে।
সোমবার (১ মে) বিকালে শহরের পাল বাজার, বিপণীবাগ ও মিশন রোড ঘুরে দেখা গেছে, একই ফল শহরের স্থানভেদে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে। ফল বিক্রেতারা বলছেন,পরিবহন ভাড়া বাড়ার কারণে ফলের দাম বেড়েছে।
খুচরা ফল ব্যবসায়ীরা বলেন,,আমদানি করা আপেল খুচরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। আনারের দাম ৪০০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা। আঙুর কেজি বিক্রি হচ্ছে সবুজ আঙ্গুর ২৮০ টাকায়। আর কালো আঙ্গুর ৫০০-৫৫০ টাকা। চায়না কমলা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। নাশপাতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। ভালো মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকায়।
ফলের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। নিত্যপণ্যের বাজার আগে থেকেই চড়া। যার কারণে মানুষ দাম শুনে ফল না কিনেই চলে যাচ্ছেন। আবার বিশেষ প্রয়োজনে যারা কেনেন, তারাও অল্প পরিমাণে কিনছেন।
শহরের পাল বাজারে ফল কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মারুফ হোসেন বলেন, বাসায় মা-বাবা ও ছোট ছেলে-মেয়ে আছে। তাদের জন্য আগে হরেকরকম ফল নিয়মতি ক্রয় করতাম। এখন তা পারছি না। কারণ ফলের দাম দিন দিন নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এখন যা দুই-এক জাতের ফল কিনেছি তাও খুব সীমিত পরিমাণে।
পাল বাজারে ফল ব্যবসায়ী মোবারক হোসনে বলেন, রমজানের আগ থেকেই আমদানি করা ফলের দাম বাড়তি। চায়না থেকে হানি ফুজি আপেল, ক্রাউন আপেল, গালা আপেল, লুগাম কমলা, ছোট কমলা, নাশপাতি প্রভৃতি ফল আমদানি করা। সেইসঙ্গে পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে আমাদেরও পাইকারি বাজার হতে বেশি দাম দিয়ে ফল কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে ফলের দাম চড়া।
ফম/এমএমএ/