চাঁদপুর : সংস্কারের দুই বছরের মধ্যেই চাঁদপুর-রায়পুর সড়কটি বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং স্তুপ হয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে অধিকাংশ যানাবহ একা পাশ দিয়ে চলাচল করছে। যার ফলে ঈদকে কেন্দ্র করে যানবাহন চলাচল আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সরেজমিন চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে দেখাগেল সড়কের বাগড়া বাজার থেকে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কের একপাশের অনেকটাই নষ্ট হয়ে কার্পেটিং উঠে গেছে। কোথাও গর্ত এবং পিচ উঠে উঁচু হয়ে আছে। আর পুরো সড়কের বিভিন্ন অংশ ফেঁটে গেছে। ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে সড়কের কাপের্টিং উঠে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থ বছরে চাঁদপুর সদর অংশ থেকে শুরু করে ফরিদগঞ্জ পর্যন্ত চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের ১৭ কিলোমিটারের নির্মাণকাজ করেছে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর আর নতুন করে সড়কটি মেরামত কাজ হয়নি। সড়ক বিভাগ মাঝে মাঝে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করলেও কিছুদিন পর তা আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। এছাড়া ফরিদগঞ্জ সীমানা থেকে রায়পুর শহর পর্যন্ত সড়কের এই অংশটি অত্যস্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এই সড়কের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক লিটন, রবিউল, রহমানসহ বেশ কয়েকজন জানান, সড়কের এক পাশের অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমরা অন্যপাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। যা খুবই বিপদজ্জনক। তাই ঈদের আগে কিছুটা হলেও সড়কটি মেরামত করলে যাত্রীরা উপকৃত হবে।
ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার একাধিক যাত্রী জানান, চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কে গণপরিবহনের তুলনায় তিনচাকার যানবাহন বেশি চলাচাল করে। যাদের আবার অধিকাংশরেই ড্রাইভিং লাইন্সেস নেই। ফলে তারা নিয়ম না জেনেই অনেকটা প্রতিযোগিতা করে দ্রুতগতিতে গাড়ী চালায়। ফলাফল প্রায়শই ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতি বিরাজ করলে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের দুর্বোগ চরমে উঠবে।
সড়ক ও জনপথ চাঁদপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ওয়াছিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সড়কের দুরাবস্থার চিত্র আমাদের জানা রয়েছে। চেষ্টা করছি ঈদের আগেই সংস্কার করে যানচলাচল উপযোগি করার জন্য।
ফম/এমএমএ/