
শনিবার (১ মার্চ) সকাল ১০টায় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় মিলনায়তনে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।
তিনি বক্তব্যে বলেন, কোরআন কেন এসেছে তা কোরআনের আয়াতে বর্ননা করা হয়েছে। আল-কুরআন যারা অনুসরণ করবে, তাদের কোন চিন্তাও নেই, ভয়ও নেই। আল-কুরআনে যত কথা আছে, সব মানুষের জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আজকে আমরা কোরআনকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু বুঝার এবং এর আলোকে জীবন গড়ার চেষ্টা করি না। আমরা যদি এই পৃথিবী ও দেশকে পরির্তন করতে চাই, তাহলে কুরআন পড়তে হবে, কুরআন বুঝতে হবে এবং কুরআনের আলোকে নিজের জীবনকে গড়তে হবে। তিনি কুরআনের পথে আসার জন্য সকলকে আহবান জানান।
উদ্বোধকের বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া। তিনি বক্তব্যে বলেন, মহানগ্রন্থ আল-কুরআন হচ্ছে আমাদের জন্য সংবিধান। আমাদের ব্যাক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করার জন্য কুরআনই হচ্ছে একমাত্র পথ। আর বাকী যা আছে তা শয়তানের মত ও পথ। আল্লাহর আইন ছাড়া মানুষের বানানো কোন পদ্ধতিতে জীবন পরিচালনা করা সম্ভব নয় এবং ব্যাক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে সুখ এবং সমৃদ্ধি আসতে পারে না। যে কারণে আমাদেরকে কুরআন শিখতে হবে এবং অন্যকে কুরআন শিক্ষা দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তি পাওয়া যাবে।

হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আহবায়ক ছিলেন প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কেএম সালাউদ্দিন ও সদস্য সচিব ছিলেন প্রেসক্লাবের সদস্য মাওলানা আহম্মদ উল্লাহ।
প্রতিযোগিতায় অনুর্ধ্ব-১৪ বছর প্রতিযোগি হাফেজদের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ মাওলানা ইসমাইল হোসেন আজাদ ও হাফেজ মো. মাসুদ আলম।
অনুর্ধ্ব-৩০ বছর প্রতিযোগি হাফেজদের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ মাওলানা মো. নিজামুল হক ও আল-আমিন মডেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ ন ম ফখরুল ইসলাম মাসুম।
সকাল ৯টা থেকে প্রতিযোগিদের নিবন্ধন শুরু হয়। নিবন্ধন শেষে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। দুপুরে প্রতিযোগিতা শেষে অনুর্ধ্ব-১৪ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫ জনের নাম ঘোষণা করেন হাফেজ মাওলানা ইসমাইল হোসেন আজাদ এবং অনুর্ধ্ব-৩০ বছর প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫ জনের নাম ঘোষণা করেন হাফেজ মাওলানা মো. নিজামুল হক। প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করা হবে।