
চাঁদপুর: চাঁদপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা- ইলিশ ধরার অপরাধে গত ২৪ ঘণ্টায় অভিযানে ৩৫ জেলেকে আটক করা হয়েছে। ১৩ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর ২২ জেলেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
২২ অক্টোবর সকাল থেকে গতকাল ২৩ অক্টোবর রোববার সকাল পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে অভয়াশ্রম এলাকার পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে।
নিয়মিত মামলায় গ্রেফতারকৃত ১৩ জন জেলে হলোঃ মাসুম রানা (৩৫), ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ (২০), রাকিব হোসেন (২২), আবুল কালাম (৪২), সাব্বির (১৯), ফারুক (৪০),সাইফ উদ্দিন (২৮), তাইজুল ইসলাম (২২),আবু কালাম (২২), শহিন আলম (২০), আবুল হোসেন (২৪), মনসুর (২৫), নুর মোহাম্মদ(২৬),ইসমাইল (২৪), মনির হোসেন (১৯) গ্রেফতাকৃত জেলেদের বিরুদ্ধে মৎস্য সংরক্ষন আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শিশু অপরাধী জহির ইসলাম (১০)কে শতর্ক করে অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়।
অপরদিকে মোবাইল কোটে সাজাপ্রাপ্ত ২২ জেলে হলেনঃ জান শরিফ মোতাইন (১৯), রানা (১৮), শাহিন (১৮), কামাল ঢালী (২৭),সেকান্তর (২৯), মানিক (৩৫), বাবুল বেপারী (৩২), আব্বাস হাওলাদার (৪২), সেলিম দেওয়ান (৪০), সফি শেখ (৩৫), রুবেল (২৩), শেখ ফরিদ (২৪), ফারুক বকাউল (২৭), স্বাধীন (২২)। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার গ্রেফতাকৃত ১৪ আসামীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মোবাইল কোট পরিচালনা করে ১ জন আসামীকে ১ বছর এবং ১৩ জন আসামীর প্রত্যেককে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
চাঁদপুর নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান জানায়, অভিযানে ১ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৬শ মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এসময় ৭ টি ইঞ্জিন চালিত কাঠের তৈরী জেলে নৌকার মধ্যে ৩ টি নৌকা পানিতে ডুবিয়ে অকার্যকর করা হয়েছে, আর বাকী ৩ টি নৌকা নৌ থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। জব্দকৃত ১৭৮কেজি ৫০০গ্রাম ইলিশ মাছ এর মধ্যে ১২৫কেজি ৫০০গ্রাম ইলিশ মাছ হিমাগারে সংরক্ষন করা হয়। অবশিষ্ট ৫৩ কেজি ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিলি করা হয়।
ফম/এমএমএ/