চাঁদপুর জেলা জুড়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন

চাঁদপুর: যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) চাঁদপুর জেলা জুড়ে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতি থাকলেও অধিকাংশ ঈদগাঁ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। বিকল্প হিসেবে মহল্লার মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লীরা।

মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ অনুয়ায়ী পশু কোরবানি করেছেন। নামাজ শেষে মুসুল্লিদের অনেকেই কবরস্থানে ছুটে গেছেন। চিরবিদায় নেয়া তাদের স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানান।

এদিকে চাঁদপুর জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান ঈদ-উল-আজহার নামাজ চাঁদপুর কালেক্টরেট জামে মসজিদে আদায় করেছেন। মসজিদ জামাতে সমাবেত মুসল্লিদের সাথে তিনি কুশলাদি বিনিময় করেন এবং ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে সকল কলুষতা পরিহার করে সুখী সমৃদ্ধ সমাজ ও দেশ গড়তে সবাইকে অনুরোধ করেন। এছাড়া উৎসবকালে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে সচেষ্ট হতে আহ্বান জানান।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ঈদুল আজহার আগেরদিন অর্থাৎ বুধবার (২৮জুন) জেলা জুড়ে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে ঈদগাঁ মাঠের জামায়াত বন্ধ করে দেন আয়োজক কমিটি। চাঁদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঘোষিত ঈদগাঁ মাঠ অর্থাৎ চাঁদপুর পৌর ঈদগাঁ মাঠে ঈদের প্রধান জামায়াত হওয়ার কথা ছিল। শহরের আউটার স্টেডিয়ামে বড় ধরণের ঈদের জামাতের জন্য প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। কিন্তু নামাজ আদায় করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে, সকাল থেকে কিছুটা সময় আবহাওয়া অনুকুলে থেকে অনেকেই কোবানির কাজ সম্পন্ন করতে সহজ হয়েছে। এরপর বৃষ্টি আসার কারণে কিছুটা বিড়ম্বনা হয়েছে। এরপর আবার বৃষ্টি থেমে যায়। এভাবেই কোরবানি সম্পন্ন করেন শহরের লোকজন।

অপরদিকে চাঁদপুর পৌর এলাকা থেকে মেয়র মো. জিল্লুর রহমানের পরিকল্পিত সিদ্ধান্তে খুবই সুন্দরভাবে শহরের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কাজটি শেষ করেন। একই সাথে শহরবাসীরও সহযোগিতাছিল এই কাজ করার ক্ষেত্রে।
ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম