চাঁদপুর জেলায় ২২০ মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন হবে

সভায় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। ছবি: শাহরিয়া পলাশ।

চাঁদপুর : আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, এবছর চাঁদপুর জেলাতে ২২০টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজাতে চাঁদপুরে অতীতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, ঘটবেও না। তবে ঘটবে না বলে বসে থাকা যাবে না। প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্ক থাকতে হবে।  নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সম্মিলিতভাবে পূজা উদযাপন করবো।

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিসি টিভি ক্যামেরা প্রতিটি মন্ডপে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠনে যাচাই-বাছাই করে করতে হবে। প্রত্যকের মোবাইল নাস্বার, ছবিসহ যাবতীয় তথ্য থাকতে হবে। যাকেই স্বেচ্ছাসেবক দিবেন সে যেন আসলেই স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করতে পারবে তাদেরকেই দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পূজা চলাকালীন সময়ে পুলিশের জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখবে। যেখানেই পূজা মন্ডপ হবে সেখানেই এখন থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতিটি মন্ডপের নিরাপত্তার জন্যে একটি ৪/৫ সদস্যের কমিটি করে উপজেলাতে জমা দিতে হবে।

বিসর্জন প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, বির্সজনের ক্ষেত্রে আমরা চাই দিনের আলোতে শেষ করতে।  সন্ধ্যা ৬টার আগে প্রতিটি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন স্পটে পৌঁছে যাবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছাড়ানো প্রসঙ্গে ডিসি বলেন,  গুজব যেন কেউ না ছড়ায়। যে গুজব ছড়াবে তার দায় তাকেই নিতে হবে। গুজব নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, দিনে লোডশেডিং থাকেেলা সন্ধ্যার পর যেন বিদ্যুৎ থাকে সে ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি মন্ডপের বিকল্প পাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি কোন পূজা মন্ডপে মাদক সেবন হয় না। কেউ যদি নিজ ব্যক্তি উদ্দ্যোগে মাদক সেবন করে, সেই দায় সব পূজা মন্ডপকে দেয়া ঠিক না। এবার একটা ভালো সংবাদ হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনীও টহল জোরদার করবেন।

পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব বক্তব্যে বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।  আমরা এখন থেকেই প্রতিটি মন্ডপে পরিদর্শন করছি। যেখানেই যাচ্ছি সবাই আসলে আন্তরিক। নিরাপত্তার ব্যবস্থাতে এখন থেকে পুলিশ মনিটরিং করছে।

এসপি বলেন, পূজা চলাকালীন সময়ে প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ থাকবে। এছাড়া আনসারসহ সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে।  প্রতিটি মন্ডপে সিসি টিভির ব্যবস্থা থাকতে হবে। মন্ডপগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। পূজাকালীন সময়ে পুলিশ মন্ডপের থাকার সাথে সাথে সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে।

পুলিশ সুপার বলেন, কিশোর গ্যাং এর ব্যাপারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। চিহ্নিত মাদক ও ইভটিজিং কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশাকরি পূজা সুন্দরভাবে উদযাপন করবো।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর ২১ বীর এর মেজর আরিফ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. সাহাদাৎ হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্ল্যাহ সেলিম, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ।
এ সময় সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ফম/এস.পলাশ/এমএমএ/

শাহরিয়া পলাশ | ফোকাস মোহনা.কম