চাঁদপুরে ২৪ ঘন্টায় ৬০জন ডেঙ্গু আক্রান্ত

চাঁদপুর : চাঁদপুর জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬০ জন নারী, পুরুষ ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১জন। বাকীরা ৭ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য সংগ্রহ হলে জুলাই থেকে আক্রান্ত শুরু হয়। এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ৩ হাজার ৩৫জন। তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখাগেছে, নারী, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ ৪ দিন আবার কেউ গত ২দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মহিলা ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স শামিমা আক্তার ও ফেরদৌসি বেগম জানান, ডেঙ্গু পজিটিভ নিয়ে যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের পুরো চিকিৎসাই আমরা দিচ্ছে। তাদেরকে স্যালাইন, ইনজেকশন ও ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়ে তার বাড়িতে যাচ্ছেন।

হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এলাকার জারিয়ার চর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রায়হান (২২) জানান, জ¦রে আক্রান্ত হওয়ার পর  গত দুই দিন আগে হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা চলছে।

শহরের পুরাণ বাজার মধ্য শ্রীরামদী হৃদয় হোসেন (১৬) জানান, গত ৪দিন আগ থেকে জ¦র শুরু হয়। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষা করার পরে ডেঙ্গু পরীক্ষা পজিটিভ আসে। ইনজেকশন ও স্যালাইন দেয় হয়েছে।

সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া বাজার এলাকার রোকসানারা জানান, তিনি গত ৩দিন জরে আক্রান্ত। রবিবার পরীক্ষা করা পর ডেঙ্গু পজিটিভ আসে।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হয়েছেন ২১জন। এর মধ্যে শিশু ১০জন, নারী-৫ জন ও পুরুষ ৬জন। আমাদের হাসপাতালে সাধারণ রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীদেরকেও আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কোন ধরণের সমস্যা নেই।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, মূলত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাড়তে শুরু করে জুলাই মাস থেকে। সে হিসেবে জুলাই থেকে এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৫জন। গত ২৪ ঘন্টায় জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২১জন, ফরিদগঞ্জে ৩জন, শাহরাস্তি ৭জন, কুচয়া ২০জন, হাজীগঞ্জ ৫জন, মতলব দক্ষিণে ৩জন, মতলব উত্তরে কোন রোগী ভর্তি নেই এবং হাইমচর উপজেলায় ভর্তি আছে ১জন।

তিনি আরো বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষায় বিভিন্নভাবে সচেতনামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। বিশেষ করে চাঁদপুর পৌরসভা এলাকায় পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

ফম/এমএমএ/

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম