চাঁদপুরে সিএনজি মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের জরুরি সভা

শহরের মধ্যে সিএনজি প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে

চাঁদপুর: পৌর প্রশাসকের নির্দেশনায় শহরের মধ্যে সিএনজি প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে জরুরী সভা করেছে চাঁদপুরে সিএনজি মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলার বিভিন্ন স্ট্যান্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের ওয়ারলেছ এলাকায় চাঁদপুর জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক সমিতির (রেজিঃ ১৮৭৮) এর কার্যকরী সভাপতি মো. লিটন মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ ২৫০৩) এর সভাপতি কাজী ওমর ফারুক।

চাঁদপুর জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ ২৫০৩ এর কার্যকরী সভাপতি মো. জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সদর উপজেলা জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন নয়ন, জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মিন্টু বেপারী, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ খান, ফয়সাল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মো. ছলিম গাজী, সহ-সম্পাদক আবু তাহের মিজি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মো. ভুট্টো মাল, দপ্তর সম্পাদক মো. শামীম মিজি, প্রচার সম্পাদক মো. সবুজ মিয়া, সহ-কোষাধ্যক্ষ মাসুদ গাজী, সম্মানিত সদস্য মো. ইয়াছিন লিটন, হাইমচর থানা সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম গাজী, লঞ্চঘাট কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল গাজী, শ্রমিক নেতা মো. মাকসুদ, পালবাজার ব্রিজ গোড়া স্ট্যান্ড কমিটির সহ-সভাপতি সুমন বেপারি, খোকন মিজি, বাস্ট্যান্ড কমিটির রাজু ঢালী, মুন্সিরহাট স্ট্যান্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকন হাজরা, ইচুলী স্ট্যান্ড কমিটির মো. ওমর ফারুকসহ জেলার ৬৫টি স্ট্যান্ড কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

এসময় বক্তরা বলেন, চাঁদপুর পৌর প্রশাসক সিধান্ত নিয়েছেন আগামী ১ ফেব্রুয়ারী থেকে চাঁদপুর শহরের মধ্যে কোন সিএনজি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয় নিয়ে আমরা একাধিবার জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসকের সাথে সভা করেছি। সেই সভায় জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৮টি স্থানে স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন দাবী উপস্থাপন করেছি। কিন্তু আমাদের দাবী উপেক্ষা করে একক ভাবে শহরে সিএনজি প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা করেছে। শহরের মধ্যে লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল, ডিসি অফিস, এসপি অফিস, আদালত সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লোকজন বিভিন্ন কাজে আসা-যাওয়া। শহরে যদি সিএনজি প্রবেশ করতে দেওয়া না হয়, তাহলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসা লোকজন ভোগান্তিতে পড়বে।

বক্তরা আরো বলেন, চাঁদপুর জেলার মধ্যে প্রায় ১০ হাজার সিএনজি চলাচল করে। এরমধ্যে শহরে চলাচল কওে প্রায় ৪ হাজার সিএনজি। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করা হলে রাস্তার উপরে আর সিএনজি থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামা করবে না এবং রাস্তার উপরে সিএনজি পার্কিং করবে না। শহরেও আর যানজট হবে না। আমরা প্রতিবছর প্রায় ১৩ হাজার টাকা করে সরকারকে বার্ষরিক ভ্যাট দিয়ে আসছি। সরকার আমাদের সিএনজির রোড পারমিট দিয়েছে জেলা ভিত্তিক চলাচল করার জন্য। আগামী ১ ফেব্রুয়ারী থেকে শহরের সিএনজি প্রবেশ করতে না দিলে, আমরা সিএনজি মালিক, শ্রমিক, স্ট্যান্ড কমিটির লোকজন কর্মবিরতি, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম