
চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলা সদরসহ গ্রামাঞ্চলে শীতের সব্জির আমদানি বেড়েছে। প্রতিবছরই এই সময় আমদানি বাড়ে। এ বছর অন্য বছরের তুলনায় একটু দেরিতে বাজারে এসেছে টমেটো, সিম, ফুলকপি ও বাধাকপিসহ বিভিন্ন ধরণের শাক। তবে গ্রামে উৎপাদিত সব্জি শহরে চলে আসলেও এখন গ্রামেও সব্জির চাহিদা বেড়েছে। প্রত্যেক মানুষের জন্য শাক-সব্জির প্রয়োজনীয়তা চিকিৎসকরা পরামর্শ দেয়ার কারণে কদর বেড়েছে গ্রামে।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) চাঁদপুর শহরের নতুন বাজারে দেখাগেছে প্রত্যেকটি দোকানে শীতকালীন সব্জি ভরপুর। দামও অনেকটা কমতে শুরু করেছে। প্রতিকেজি টমেটো ২৫-৩০টাকা। সিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা। খিরাই ২৫ থেকে ৩০টাকা। শসা ৩০-৪০টাকা। মরচি প্রতি কেজি ৮০-১০০টাকা। ধনিয়া পাতা ১০০-১১০টাকা। ফুল কপি ৩০-৪০টাকা। বাঁধা কপি একই দামে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক প্রতিকেজি ৩৫-৪০ টাকা। কুমড়ার শাক প্রতি আটি ২০-২৫টাকা। এলাচি লেবু প্রতি হালি ২০-২৫টাকা। বেগুন প্রতিকেজি ৪০ টাকা।
সম্প্রতি সময়ে হাইমচর উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলোতে দেখাগেছে প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সব্জি। অনেক বাজার ও রাস্তার পাশে সব্জি বিক্রি হচ্ছে। এসব সব্জির একটি বিশেষ গুন আছে। সেটি হচ্ছে বিষমুক্ত। কোন প্রকার ক্যামিকেল ব্যবহার ছাড়াই সব্জিগুলো জমি থেকে সরাসরি কৃষক নিজেই বাজারে এনে বিক্রি করছেন।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর জেলায় ১৭ হাজার ৬৩০ জন শাকসব্জির চাষী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। টাকার অংকে শাক সব্জির ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা।
ফম/এমএমএ/