চাঁদপুরে শহীদ রাজুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত

চাঁদপুর : নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ও গণঅভ্যুথান আন্দোলনে চাঁদপুরে নিহত শহীদ জিয়াউর রহমান রাজুর ৩৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পালিত হয়েছে।

শনিবার (৩ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় এ উপলক্ষে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ জিয়াউর রহমান রাজু পাটোয়ারীর সমাধিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পক্ষ থেকে প্রথমে দলের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর পৌরসভা, শহীদ জিয়াউর রহমান রাজু স্মৃতি সংসদ, সাবেক ছাত্র নেতা, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা ছাত্রলীগ এবং কলেজ ছাত্রলীগ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে। পরে সেখানে শহীদ রাজুর কবর জেয়ারতসহ তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাড. মো. হেলাল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েল, শহীদ রাজুর ছোট ভাই ব্যাংকার আতাউর রহমান পাটোয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ সোহেল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক তাসকিন আহমেদ সাইফসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২৭ নভেম্বর ঢাকায় নিহত হন বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলম মিলন। তার নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিক্ষোভের দাবানল জ্বলে ওঠে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন ২৮ নভেম্বর চাঁদপুরে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য পরিষদ সরকারি কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ওই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউর রহমান পাটোয়ারী রাজু। মিছিলটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে চিত্রলেখা সিনেমা হল মোড়ে আসে। এতে কোনো প্রকার উস্কানি বা উত্তেজনা ছাড়াই পুলিশ মিছিলটির ওপর গুলি চালায়। ওই সময় মিছিলের সম্মুখে থাকা রাজু পাটোয়ারী গুলিবিদ্ধ হন। পরে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে পাঁচ দিন চিকিৎসার পর ৩ ডিসেম্বর সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সেই থেকে ৩ ডিসেম্বর শহীদ রাজু দিবস পালন করে আসছে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য পরিষদ।

শহীদ রাজু ছিলেন চাঁদপুর শহরের তালতলা এলাকার ফজলুর রহমান পাটোয়ারীর ছেলে। চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল করিম পাটোয়ারী ছিলেন শহীদ রাজুর জ্যাঠা। শহীদ রাজুর স্মৃতি ধরে রাখতে চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে শহরের চিত্রলেখা মোড়ে নির্মাণ করা হয় রাজু চত্বর।

ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম