
চাঁদপুর: রেলওয়ের জমি মানেই অবৈধ ভাবে দখলের কৌশল, শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ফাঁকা জায়গা দেখলেই দখলকারীদের কাছে যেনো সোনার হরিণ। সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে যে যেমন ভাবে পারছে রেল লাইনের আশেপাশের রেলওয়ের জমি অবৈধ ভাবে দখল করছেন।
কর্তৃপক্ষ কঠিন কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারনে সুযোগ পাচ্ছে ওই সব অবৈধ দখলদাররা। এদের বিরুদ্ধে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিশ করা কিংবা চিঠি দেয়ার মত কোন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের নজির দেখা যাচ্ছে না। যার কারণে রেলওয়ের মূল্যবান সম্পত্তি নিয়মিত বেদখল হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রেলওয়ের চাঁদপুর স্টেশন থেকে শুরু করে লাকসাম সীমানার আগ পর্যন্ত হাজার হাজার স্থাপনা গড়ে উঠেছে রেলওয়ের সম্পত্তিতে। তবে জনগসমাগম স্থল অর্থাৎ বাণিজ্যিক এলাকায় রেলওয়ের সম্পত্তির অবৈধ দখলের হিড়িক বেশী। দখলদার মধ্যে কেউ কেউ রেললাইনের দু’পাশের জমি কিংবা জলাশয় কৃষি লিজ আনলেও পরবর্তীতে আর তা থাকছে না। ওই লিজের কারণে তারা বাণিজিক্য কাজ শুরু করে। যদিও দুই এক স্থানে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার কারণে রেলওয়ের বড় ধরনের সম্পত্তি অবৈধ দখলে হস্তক্ষেপ করে কর্তৃপক্ষ। তারপরেও থেমে নেই দুষ্টুচক্রের পরিকল্পনা।
চাঁদপুরের স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে রেলওয়ের সম্পত্তি দখল নিয়ে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। তখন রেলওয়ের একটি উচ্ছেদ টিম টানা কয়েকদিন অভিযান চালায়। এরপর আর এই বিষয়ে কোন নজরদারী নেই কর্তৃপক্ষের।
রেললাইনের পাশে গড়ে উঠা অবৈধা স্থাপনার কারণে অনেক সময় দূর্ঘটনা ঘটে। রেল লাইনের ক্ষতিহয় এসব কারণে। এসব অনিয়ম থেকে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ রক্ষায় চাঁদপুরবাসীও উচ্ছেদ অভিযান কামনা করছেন।
ফম/এমএমএ/