চাঁদপুরে বখাটেদের হামলায় মসজিদের ইমাম ও ছেলে গুরুতর আহত

চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন এলাকার যমুনা রোডের টিলা বাড়ি নুরানী জামে মসজিদের পাশে বখাটে যুবকদের আড্ডা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মসজিদের ইমাম মোস্তাফা বেপারী ও তার ছেলে সোহেল বেপারী কে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহতরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এলাকার বেশ কিছু বখাটে যুবক রতন জমাদারের পুত্র তাজুল ইসলাম, মুসলিম সর্দারের ছেলে নয়ন ও হান্নান, চাঁন মিয়ার পুত্র মামুন, সাইদ চোকদারের ছেলে রিয়াজ, এবং মারুফ ও সুদিপসহ বেশ কয়েকজন মিলে নুরানী জামে মসজিদের পাশে উচ্ছৃঙ্খলভাবে আড্ডা দিতে থাকে। তারা প্রায় সময় সেখানে এভাবে আড্ডা দেয়। এদেরকে মসজিদের ইমাম সাহেব সেখানে আড্ডা না দেয়ার জন্য বারন করে। কিন্তু তারা ইমামের কথা কোন কর্নপাতই করেনি। এ বিষয়টি ইমাম এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের বেশ কয়েকবার অবহিত করেছেন। কিন্তু তারা এতই উচ্ছৃঙ্খল যে কারো কথাই মান্য না করে আড্ডা দিতে থাকে।

২ জুলাই মঙ্গলবাদ আছর নামাজের সময় তারা এমনভাবে উচ্চস্বরে উচ্ছৃঙ্কল কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে। এতে নামাজরত মুসল্লিদের ও ইমাম সাহেবের নামাজে ব্যাঘাত ঘটে। পরে জামায়াত শেষে ইমাম মোস্তাফা বেপারী তাদেরকে ওই স্থানে আর আড্ডা না দিতে নিষেধ করে। এতে করে তারা ইমামের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালমন্দ শুরু করে। একপর্যায়ে ইমাম সাহেবকে শারীরিকভাবে আঘাত করে। এ সংবাদ শুনে ইমামের ছেলে সোহেল বেপারী (মনা) পিতাকে রক্ষা করতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং সে যুবকদেরকে দেখতে পেয়ে তাদেরকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা ছেলে মনার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে একপর্যায়ে তাকে ও ধারালো অস্ত্র দ্বারা মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তখন তারা মনাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে ঢাকায় প্রেরন করে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনা সম্পর্কে আহত মনার সাথে আলাপকালে সে জানায়, আমি আমার পিতাকে মারধরের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সে মুহুর্তে অবস্থানরত জিয়া প্রধানীয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাকে কিছু বুঝে উঠার আগেই বেদম মারধর করে। আমাকে পরবর্তিতে এলাকার লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়।

খোজ নিয়ে জানা যায়, হামলাকারীরা এলাকার মাদক, সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। উক্ত বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
ফম/এমএমএ/

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | ফোকাস মোহনা.কম