
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চল পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোশফিকুর রহমান।
তিনি বক্তব্যে বলেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে নৌপথে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির অপতৎপরতা রোধে টহল জোরদার করা হবে। প্রতিটি লঞ্চঘাট ও টার্মিনালে নৌ পুলিশের টহল দল মোতায়েন থাকবে। লঞ্চ ও জাহাজে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, বড় অংকের নগদ অর্থ বা মূল্যবান জিনিস বহনের ক্ষেত্রে নৌ পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টার্মিনালে প্রবেশের সময় তল্লাশি জোরদার, লঞ্চে ভ্রমণকারী কেবিন যাত্রীদের পূর্ণ তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণ, যাত্রী টিকিটে নাম-ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য রাখা, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ এবং লঞ্চ ছাড়ার আগে যাত্রীদের স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া লঞ্চের স্টাফদের ওপরও নজরদারি বাড়ানো হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা, নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশ নৌযান মালিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ও নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতি, বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন, বাল্কহেড শ্রমিক ফেডারেশন, লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা।
বাংলাদেশ নৌযান মালিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি শাহ আলম বলেন, নৌ পুলিশের সীমিত লজিস্টিকস সাপোর্ট থাকা সত্ত্বেও তারা প্রতিবারের মতো এবারও নিরাপত্তা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের সময় এড়িয়ে রাত ৮টার পর বাল্কহেড চলাচল করতে হবে এবং বৈরি আবহাওয়ায় নিরাপদ স্থানে নোঙরের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় বক্তারা নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়ম-নীতি মেনে চলার আহ্বান জানান এবং নৌ পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।