চাঁদপুর : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়তে পারে চাঁদপুর নদী উপকূলীয় এলাকায়। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকায় চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল অব্যাহত আছে। তবে মেঘনা উপকূলীয় শহর অঞ্চলে মাইকিং করে জেলে, চরাঞ্চল ও স্থানীয় বাসিন্দা এবং ট্রলারগুলোকে সতর্ক করতে মাইকিং করছেন নৌ থানা পুলিশ।
শনিবার (২৫ মে) বিকেলে শহরের তিন নদীর মোহনা, টিলাবাড়ী, লঞ্চঘাট এলাকায় চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে সতর্ক করে মাইকিং করেন।
ওসি বলেন, জেলে, স্থানীয় বাসিন্দা ও চরাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রী এবং মালবাহী ট্রলারগুলো সাবধানে চলাচল করতে সর্তক করে দেয়া হয়েছে। জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা, গবাদিপশু, শিশুসহ প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নৌ পুলিশের পক্ষ হতে সচেতনমূলক মাইকিং করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন বলেন, চাঁদপুরে বর্তমানে নদীতে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। যে কারণে লঞ্চ চলাচল এখন বন্ধ করার নির্দেশ আসেনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শনা আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুরের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর বিষয়ে আমাদের সবগুলো ইউনিটকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার (২৬ মে) সকালে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের মিটিং হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল চাঁদপুরে প্রভাব ও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসন এর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানাগেছে, এই সংক্রান্ত বিষেয় রবিবার (২৬ মে) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।
ফম/এমএমএ/