চাঁদপুরে নিখোঁজের তিনদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুর : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও ইউনিয়নে নিখোঁজের তিনদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে ওই ইউনিয়নের পাঁচদোনা গ্রামের একটি পুরনো খড়ের স্তুপ থেকে শিশু আদিবা (৮) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গেলো ২০ জানুয়ারি সোমবার বিকালে সহপাঠিদের সাথে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু আদিবা।

শিশু আদিবা পাঁচদোনা গ্রামের প্রবাসী আলাউদ্দিন প্রধানীয়ার মেয়ে।

আদিবার খেলার সহপাঠী তাসফিয়ার তথ্যমতে গোলাপ ফুল দেয়ার কথা বলে ইমন নামের একজন আদিবাকে নিয়ে যায়। সেই সূত্র ধরে আদিবার মা ২১ জানুয়ারি মতলব দক্ষিন থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ একই গ্রামের ইমন ও ইয়াছিন নামের দুজনকে ওইদিনই গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।

এলাকাবাসী ও পরিবার রোকজন জানায়, নিখোঁজের পর থেকে এলাকায় মাইকিং ও বিভিন্নভাবে আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করলেও আদিবার সন্ধান দিতে না পারায় বৃহস্পতিবার এলাকায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। পরে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে এলাকার বিভিন্ন পুকুর ও নির্জন স্থানে আদিবাকে খুঁজতে গিয়ে পুরনো খড়ের স্তুপের ভেতরে মরদেহের সন্ধান পায়।

খবর পেয়ে ছুটে আসেন আদিবার সহপাঠি তাসফিয়া। সে আদিবার মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে। কান্নাজড়িত কন্ঠে তাসফিয়া বলেন, আমি আদিবার সাথে যেতে চেয়েছিলাম। ইমন আমাকে ধমক দিয়ে বসিয়ে রাখে। আদিবার জন্য অনেকক্ষণ বসে ছিলাম। ইমন আর আদিবা কেউই এলো না। আদিবাকে একটি গোলাপ ফুল দিবে বলে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায় ইমন।

আদিবার মা শামিমা আক্তার বলেন, আদিবার সাথে কিসের শত্রুতা ছিল ইমনের, তা আমাদের জানান নেই। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহম্মেদ বলেন, নিখোঁজের পর থেকে আমাদের তদন্ত কাজ চলছে। আদিবার মা শামিমা আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অপহরণ মামলা নিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের একাধিক টিম এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আদিবাকে খোঁজা হয়। তার মরদেহ সন্ধান পেয়ে উদ্ধার করেছি।

তিনি আরো বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য শিশুর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে রাতে। অন্যদিকে মামলার তদন্তকাজ চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ফম/এমএমএ/