চাঁদপুর: চাঁদপুরে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালিত হয়েছে।
২০ অক্টোবর (১২ রবিউল আউয়াল) বুধবার চাঁদপুরসহ সারাদেশে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম ও ওফাত দিবসকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) হিসেবে পালন করে থাকে। এবার বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এ দিবসটি পালন করে।
এ উপলক্ষে বুধবার বাদ জোহর বিভিন্ন মসজিদে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মুনাজাতের আগে দেশে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। এদিন ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত, চাঁদপুর জেলা শাখা”র উদ্যোগে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নাবী (সাঃ) মাহফিল ও জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হয়। মুর্শিদ কেবলা অধ্যক্ষ আইম যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী ও অধ্যক্ষ ড. একেএম মাহবুবুর রহমান (মু.জি.আ.) সহ ওলামায়ে কেরামগণ বক্তব্য পেশ করেন।
এছাড়া চাঁদপুর সদর। বাগাদী দরবার শরীফ, ফরিদগঞ্জ,মতলব,কচুয়া উপজেলাসহ নানা জায়গায় জসনে- জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে খন্ড-খন্ড মিছিল বের করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মাে. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেন। পৃথক বাণীতে তাঁরা উভয়েই দেশবাসীসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মােবারকবাদ জানান। এছাড়াও, তাঁরা দেশে সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকল ধর্মের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। মূলতঃ আরবী সনের ১২ রবিউল আওয়াল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এই দিনে জন্ম গ্রহণ করেন। একই দিনে তিনি তাঁর রবের কাছে ফিরে যান।আরবী মাসের হিসেব শুরু হয়। সন্ধ্যা রাত থেকে। এজন্য ১২ রবিউল আওয়াল শুরু হওয়ার পর অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা বিভিন্ন মসজিদ এবং বসতবাড়িতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে কোরআন খতম ও জিকির-আজগার শেষে বিশেষ মােনাজাতে নিজ-নিজ পরিবারের সদস্য ও মুসলিম উম্মাহর জন্য মহান রাব্বল আলামিনের বিশেষ রহমত কামনা করেন।
ফম/এমএমএ/