মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে এই চেয়ারম্যান প্রার্থী এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং চাঁদপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ড আমার নির্বাচনী এলাকা। এসব ইউনিয়নের কয়েকটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে আমার নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ করতে গিয়ে আমার কর্মী-সমর্থকরা প্রতিনিয়ত বাধা, হুমকি ও সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে পৌর ১৫নম্বর ওয়ার্ড এবং তরপুরচন্ডী ও কল্যাণপুর ইউনিয়নে আমার কোনো নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাচ্ছে না। গত ১২ মে রোববার কল্যাণপুর ইউনিয়নে আমার দোয়াত-কলম প্রতীকের গণসংযোগ করার অপরাধে আমার কর্মী-সমর্থকদেরকে মারধর করা হয়।
আইয়ুব আলী বলেন, এই সন্ত্রাসী বাহিনী আমার কর্মী-সমর্থকদের ভোটের দিন এবং ২১ মে’র পরে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। পৌরসভার ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫নম্বর ওয়ার্ডে এবং তরপুরচন্ডী, বিষ্ণুপুর, আশিকাটি ও কল্যাণপুর ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রগুলোতে আমার কোনো পোলিং এজেন্ট প্রবেশ করতে দেবে না, কেন্দ্র থেকে বের করে দেবে এমন হুমকি তারা দিচ্ছে। এসব ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলো তারা দখলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি’র কাছাকাছি থেকে তাঁর একজন বিশ্বস্ত কর্মী হয়ে বিগত ১৫ বছর তাঁর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ দেখভাল করেছি। সেসব অভিজ্ঞতার আলোকে আমি তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং অসহায় নিরীহ মানুষ যেন তার প্রাপ্ত অধিকার ঠিকমতো বুঝে পায় সে লক্ষ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি।
এই চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি-সকল ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে দমন করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ যেনো বজায় রাখা হয়।
এসময় বক্তব্য দেন, চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, চাঁদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল এবং সভাপতির বক্তব্য দেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক, অনলাইন এবং টেলিভিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।