চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়ায় লাইনের গ্যাসের চুলা থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে গৃহবধু খাদিজা আক্তার (৩২) পাঁচদিন চিকিৎসারত অবস্থায় থেকে মৃত্যুবরণ করেছেন।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।
একই ঘটনায় আহত ইমাম হোসেন সরদারের স্ত্রী খাদিজা। মাইমুনা আক্তার মুনা (৮) ও মাইদুল ইসলাম খালিদ (৩) নামে দুই সন্তান রয়েছে এই দম্পতির।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, গত ৯ মার্চ চাঁদপুর থেকে প্রথমে চারজনকে এবং পরে দুইজনকে দগ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে শুক্রবার দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা আক্তার নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে শাহনাজ বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ, আবদুর রহমান ১৮ শতাংশ দগ্ধ ও মহিমের শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। হোসাইন সরদারের ৩ শতাংশ ও নুসরাত জাহান নিভা ৩ শতাংশ দগ্ধ হন। তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ইমাম হোসেন সরদারের ফুফাত ভাই মাহমুদুল হাসান জীবন বলেন, গত ৯ মার্চ সেহরির সময় শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় আমার মামার বাড়িতে গ্যাস লাইন থেকে বিস্ফোরণে পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন। পর্যায়ক্রমে সকলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে আহতদের মধ্যে মামাতো ভাই ইমাম হোসেনের স্ত্রী খাদিজার অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক ছিল। মূলত গ্যাসের চুলা তিনি জ্বালাতে গিয়েছিলেন। ৫ দিন চিকিৎসারত থেকে তিনি মারা যায়। তার মৃত্যুতে পরিবারের অন্য সদস্যরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এদিকে এই ঘটনায় গত ৯ মার্চ অগ্নিদগ্ধ হন-আব্দুর রহমান সরদার (৭০), তার স্ত্রী শাহানুর বেগম (৬০), বড় ছেলে ইমাম হোসেন সরদার (৪০), বড় ছেলের স্ত্রী খাদিজা আক্তার (৩২), মেঝো ছেলের বৌ নিপা আক্তার (২৬) ও ছোট ছেলে মহিন (১৮)। বর্তমানে ওই হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
ফম/এমএমএ/