চাঁদপুর : চাঁদপুরে অবৈধভাবে দখলকৃত রেলওয়ের পরিত্যাক্ত গোডাউনের মালামালে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অল্পের জন্য বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেল রেলওয়ের কোটি-কোটি টাকার সম্পদ, রেলস্টেশন, স্টিমার অফিস, ঘাট ও মাছ ঘাটের শত-শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
বুধবার (৮ জুন) সকালে শহরের বড়স্টেশন মাছ ঘাটের পাশে রকেট ঘাট (স্টীমার ঘাট) সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও চাঁদপুর ফায়ার স্টেশন উত্তরের দমকলবাহিনীর প্রচেষ্টায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রকেট ঘাটের পাশে রেলের পরিত্যক্ত একটি ঘরকে গোডাউন বানিয়ে অবৈধভাবে ইলিশ মাছ সরবরাহের ককসিট রেখে ব্যবসা করতেন স্থানীয় আলি হোসেন গাজী নামে এক ব্যক্তি। তাদের ধারণা গোডাউনে মাদকসেবীদের মাদকের আগুণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় এই গোডাউনের পাশেই সিলিন্ডার গ্যাস ও জ্বালানি তেলের বড় একটি দোকান রক্ষা পেয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, আলী হোসেন গাজি রেলের পরিত্যক্ত গোডাউন দখল করে অবৈধভাবে ককসিট রেখে ব্যবসা করছেন। তার এ ব্যবসার জন্যে এখানে পূর্বে আরো ৩ বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবত বলেন, রেলের পরিত্যক্ত ঘরে ককসিট রেখে ব্যবসা করতে আমরা তাকে বহুবার নিষেধ করেছি। তার এই ককসেটিরে গোডাউন থেকে এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে।
চাঁদপুর স্টেশনের মাস্টার শোহেবুল শিকদার বলেন, আমাদের ওই পরিত্যক্ত ঘরে কেউ থাকেন না। তবে সেখানে মাছ ঘাটের ব্যবসায়ীরা ইলিশ ও অন্যান্য মাছ সংরক্ষণে ব্যবহৃত ককসিট রাখতেন। তবে পুড়ে যাওয়া ককসিটগুলো কার বা কীভাবে আগুন লেগেছে তা আমার জানা নেই।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছে যাই। কিন্তু এর আগেই স্থানীয়রা ডাকাতিয়া নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ কারণে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে মাছ ঘাট, স্টিমার ঘাট, রেলস্টেশন ও রেলের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করে দেখছি।
ফম/এমএমএ/