এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে একুশে টিভিতে দেখবেন ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ” প্রতিদ্বন্দ্বী “। ঈদের দিন থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে শুধু মাত্র একুশে টিভিতে। এ নাটকে চাঁদপুরের ৩ জন নাট্যাভিনেতা অভিনয় করছেন।
চাঁদপুরের বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর ৩ জন অভিনেতা যথাক্রমে শরীফ চৌধুরী, সৈয়দ শিপুল ও প্রণব ঘোষ অভিনীত নাটক প্রতিদ্বন্দ্বী। অভিনয়ে আরো রয়েছেন আরফান আহমেদ, তাবাসসুম মিথিলা, মাহদিয়া কামাল ইউশা, চঞ্চল সৈকত, তারিকুজ্জামান তপন, হুমায়ুন ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম, রেহানা পারভিন হাসি, হাফিজ আকাশ, ভেরোনিকা-সহ আরো অনেকে।
৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক প্রতিদ্বন্দ্বী রচনা করেচেন এনায়েত উল্যাহ সৈয়দ এবং পরিচালনা করেছেন সালমান মাহমুদ।
৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক প্রতিদ্বন্দ্বী নাটকের কাহিনি সংক্ষেপ: আজাদ ও ফাহাদ এক সময় দুইজন খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল। সময়ের প্রেক্ষাপটে দুই বন্ধুর মধ্যে অসম প্রতিযোগীতার কারণে প্রতিদ্বন্ধী সৃষ্টি হয়। কে কার থেকে এগিয়ে যাবে তা নিয়ে তৈরি হয় এক বিশাল প্রতিযোগিতার। বাজারে আজাদের ২টা দোকান রয়েছে। ফাহাদের রয়েছে ১টা। ফাহাদের বান্ধবী ইশরাত এইটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। সে ফাহাদকে চাপ দেয় আরেকটা দোকান নেয়ার জন্য। ফাহাদ আরেকটা দোকান ঘর নিয়ে গিয়ে আজাদের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ায় এবং সে সফলও হয়। ইশরাতের বয়ফ্রেন্ডের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয় আজাদের গার্লফ্রেন্ড ফালগুনী। ফালগুনী চায় এবার বাজারে আজাদের একটা টিভি-ফ্রিজ- হোন্ডার শো রুম হোক। এতে তার মান-মর্যাদা উচুতে উঠবে এবং সেও ইশরাতের সাথে গর্বের সহিত বলতে পারবে তার বয়ফ্রেন্ড কতটা বুদ্ধিমান আর উচু লেভেলের। ফালগুনীর চাপে আজাদ মহাজন জামশেদ শেখের কাছ থেকে দোকান বন্ধক রেখে বাজারে একটা শো-রুম দেয়। আর ফালগুনী এতে করে ভাবসাব নিয়ে ইশরাতকে খোঁচায়। ইশরাত এমন অবস্থায় দৌঁড়ে যায় ফাহাদের কাছে। বলে- তোমার নাম ফাহাদ, আরে ফাহাদ নামের প্রতি তো তোমার কোনো ইয়ত্তাই নাই।
সৌদির বাদশা ফাহাদ, তুমি যদি আজাদ ভাইয়ের থেকে বড় শো-রুম না দিছ, তাহলে তোমার নাম বদলাইয়া ফেলবা। ফাহাদ পড়ে যায় বিপাকে। সে তার ধানী জমি বন্ধক রাখে বাজারের মহাজন জামশেদ শেখের কাছে। জামশেদ শেখ তাদের দুই বন্ধুর প্রতিযোগীতা দেখে খুশি হয় এবং প্রতিযোগীতাকে আরও উস্কে দেয়। যাতে করে ধীরে ধীরে একপর্যায়ে ব্যবসা লোকসান করে দোকান ভিটা-জমিজমা কম দামে তার কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এইভাবে দুই বান্ধবীর প্রতিযোগীতা, প্রতিহিংসা ও দ্বন্ধের আগুনে দৌঁড়াতে গিয়ে এক সময়ের দুই ঘনিষ্ট বন্ধু আজ যেন ক্লান্ত, লোকসান গুণতে গুণতে ক্ষতিগ্রস্থ। অপরিপক্কতায় ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে লোকসান করে একসময় সবগুলো দোকান মহাজনের কাছে বিক্রি হয়ে যায়।
উভয়ের মধ্যে এই অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগীতার কারণে তাদের জীবন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায় এবং নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সম্পর্কের ছেদ দিন দিন আরও বৃদ্ধি পায়। অবশেষে নিঃস্ব দুই বন্ধু একত্রিত হয়। দুই বান্ধবী তখনও প্রতিহিংসায় জ¦লছে এবং আজাদ ও ফাহাদকে সেই আগুনে উস্কে দিচ্ছে। কোনোভাবেই যেন কেউ কাউকে ছাড়তে রাজী নয়। তবে এবার তাদেরকে এড়িয়ে দুই বন্ধু বাকী জীবনে এক সাথে ব্যবসা করে মহাজন থেকে জমি ও দোকান বন্ধক ছাড়িয়ে আনবে বলে প্রতিজ্ঞা করে। এমনই নানান জটিল সমীকরণ, দুই বন্ধুর দ্বদ্বের অবসান এবং দুই বান্ধবীর অমিল থেকে ব্যর্থ হয়ে লজ্জাকর পরিস্থিতির মধ্যে আবার একত্রিত হওয়া, মহাজনের চাটুরতা ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা নিয়ে এগিয়ে যায় গল্পের কাহিনি।
নাটকটি দর্শক নন্দিত হবে এমনটি আশা প্রকাশ করছেন নাটকের পরিচালক সালমান মাহমুদ। একই সাথে সকলকে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
ফম/এমএমএ/